কঙ্গোতে জঙ্গি হামলায় ৪৬ জন নিহত
কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে সন্দেহভাজন ইসলামী জঙ্গিদের হামলায় ৪৬ বেসামরিক নিহত হয়েছে। আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে এ বছরে এটা সবচেয়ে বড় হামলা।
দেশটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ইতুরু প্রদেশের ইরুমু অঞ্চলের একটি গ্রামে ওই হামলা হয় বলে স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ঘটনাস্থলে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পাঠানো হয়েছে বলে টেলিফোনে জানিয়েছেন প্রাদেশিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজিও গিদি।
হামলার পেছনে অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এডিএফ) আছে বলেও সন্দেহ করছেন গিদি।
উগান্ডার এ সশস্ত্র দলটিই কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে ধারাবাহিক গণহত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে; ২০১৯ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তাদের হাতে এক হাজারের বেশি সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে বলে এ সংক্রান্ত জাতিসংঘের এক হিসাবে দেখা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার হামলার খবর পেয়ে গ্রামটিতে সেনা সদস্যদের পাঠানো হয়েছে, তারা মৃতদেহ উদ্ধারে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জুলস এনগোংগো। হামলায় কতজন নিহত হয়েছে তা বলেননি তিনি।
ডিআর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে অবস্থিত তিনটি দেশ উগান্ডা, রুয়ান্ডা ও বুরুন্ডিতে শতাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয়।
রোববার কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে ভিরুঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে অতর্কিত হামলায় অন্তত ৬ রেঞ্জার্স নিহত হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স। হামলাকারীদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভিরুঙ্গা ন্যাশনাল পার্কটি বিপন্ন পাহাড়ি গরিলাদের অভয়ারণ্য হিসেবে সুপরিচিত।
ওই অঞ্চলে এডিএফের একাধিক হামলার পর জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) সেসব হামলার দায় স্বীকার করেছিল। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এই দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি কোনো সংযোগ আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে পারেননি।