মিয়ানমারে জান্তা সরকারকে জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি
মিয়ানমারে চলমান সংঘাত দমনে নিপিড়ণের অভিযোগ তুলে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে ‘গুরুতর পরিণাম’ হতে পারে বলে দেশটির সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সেইসাথে বিক্ষোভকারীদের প্রতি কঠোর পন্থা অবলম্বন করলে এক চুলও ছাড় দেওয়া হবেনা বলে বৈশ্বিক সংস্থাটি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার আল জাজিরার একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
নিউইয়র্কে সংস্থাটির সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিনা শানার বার্জেনার জোর দিয়ে বলেছেন, জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের প্রতি পুরোপুরি শ্রদ্ধা দেখাতে হবে এবং বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে প্রতিহিংসা পরায়ণ আচরণ করা যাবে না।
মিয়ানমারে বিক্ষোভ দমনের উদ্দেশ্যে গতকাল সোমবার দ্বিতীয়বারের মতো ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় সামরিক জান্তা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এ হুঁশিয়ারি জানায় জাতিসংঘ।
ফারহান বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে তিনি (ক্রিস্টিনা) জানান, বিশ্ব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং কঠোর কোনো পথ অবলম্বন করলে মারাত্মক পরিণাম হতে পারে।
গত নভেম্বর মাসে নিয়ানমারে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির শাসনভার নেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান। সেই সঙ্গে সু চি, মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ত এবং এনএলডির জেষ্ঠ্য নেতাদের আটক করে গৃহবন্দি করা হয়। এ ঘটনার পর পরই সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামে মিয়ানমারের নাগরিকরা।