ভারতে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড মৃত্যু ৬ হাজার ১৪৮


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক :
ভারতে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড মৃত্যু ৬ হাজার ১৪৮
  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ছয় হাজার ১৪৮ জন। এটিই এখন পর্যন্ত দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। করোনায় এ পর্যন্ত ভারতে মারা গেছেন তিন লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৬ জন।

একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৯৪ হাজার ৫২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা লাখের নিচে। দেশটিতে মোট শনাক্ত হয়েছেন দুই কোটি ৯১ লাখ ৮৩ হাজার ১২১ জন। সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে ভারতের অবস্থান বর্তমানে দ্বিতীয়তে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক লাখ ৫১ হাজার ৩৬৭ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৭৬ লাখ ৫৫ হাজার ৪৯৩ জন। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, ছত্তিশগড় ও রাজস্থান। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৯৮৯ জন।

ভারতে মোট শনাক্ত দুই কোটি ৯১ লাখ ৮৩ হাজার ১২১ জনের মধ্যে বর্তমানে আক্রান্ত রয়েছেন ১১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫২ জন। ভারতে এখন পর্যন্ত ২৪ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে এনডিটিভির প্রতিবেদনে।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে আরটি-পিসিআর ও অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে ২০ লাখ চার হাজার ৬৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ কোটি ২১ লাখ ৯৮ হাজার ২৫৩টি নমুনা।

পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৩৯ কোটির বেশি। সেখানে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে দুই লাখ ৬৭ হাজার ২৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আর বাংলাদেশে জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৬০ লাখের বেশি। এখানে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে ৩৬ হাজার ৭৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমণের দিক থেকে বর্তমানে বিশ্বে ভারতের অবস্থান দুই নম্বরে। ভারতের আগে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও পরে ব্রাজিল।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ কোটি ৫১ লাখ ৭৭ হাজার ১৭৭ জন এবং মারা গেছেন ৩৭ লাখ ৭৭ হাজার ৯৭ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১৫ কোটি ৮৬ লাখ ৯৬ হাজার ৫৫৫ জন।