ইরান ইসরাইলে হামলা করে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেঃ আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইরান ইসরাইলে হামলা করে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেঃ আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি
  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, ইসরাইলে কয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বা কতগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে তা মূল প্রশ্ন নয়, আসল বিষয় হলো ইরান ইসরাইলে হামলা করে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে।

তিনি আরও বলেছেন, আল্লাহর রহমতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী শক্তি ও দৃঢ়তার ক্ষেত্রে নিজেদের উত্তম অবস্থান এবং গোটা ইরানি জাতির প্রশংসনীয় ভাবমর্যাদা গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানি জাতির ইচ্ছা শক্তির বাস্তবায়নের প্রমাণ ফুটে উঠেছে।

ইসরাইলে ইরানের হামলার প্রশংসা করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তেলআবিবের বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য তেহরানের সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে শত্রুর মোকাবিলা করার জন্য নতুন সামরিক কৌশল রপ্ত করার আহ্বান জানান।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডারেরা আজ (রোববার) দুপুরে সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।

ইরানের এ হামলার পর ইসরাইল পালটা হামলার হুমকি দিলেও এখনো শক্তিশালী হামলা করেনি। তবে শুক্রবার কয়েকটি ড্রোন হামলা হয়েছে ইরানের ইসফাহানে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওই হামলা করেছে ইসরাইল। তবে তেহরানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ইসরাইল সরাসরি কোনো হামলা করেনি, ইরানের ভেতর থেকে লোকাল এজেন্টের সহায়তায় কয়েকটি ড্রোন ছুড়েছে। আর ওই ড্রোন আকাশ থেকেই উড়িয়ে দিয়েছে ইরান। 

এদিকে ইরানে ইসরাইলের ওই হামলার দুটি স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করেছে বিবিসি। এতে গণমাধ্যমটির দাবি, হামলায় ইসফাহানের ওই বিমানঘাঁটির একটি প্রতিরক্ষাব্যবস্থার কিয়দাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ইরান বলেছে, ড্রোনের সমন্বয়ে চালানো ওই হামলা আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সহায়তায় নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। তাতে ইরানের কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি।

এর আগে এ মাসের শুরুতে সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে ইসরাইলের হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ কয়েকজন নিহত হন। জবাবে ১৩ এপ্রিল ইসরাইলে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চালায় ইরান।