গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৪৮ জন নিহত: সিভিল ডিফেন্স
হামাস পরিচালিত গাজা উপত্যকার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, এক ঘণ্টারও কম সময়ে একটি স্কুলসহ তিনটি স্থাপনায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৪৮ জন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে।
একটি হালনাগাদ হিসাব অনুযায়ী সংস্থার পরিচালক মোহাম্মদ আল-মুগাইর এএফপি’কে জানিয়েছেন, মধ্য গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত আল-রাজি স্কুলে ২৫ জন মারা গেছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের কাছে আল-মাওয়াসিতে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছে। উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় একটি গোলচত্বরের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের উপর হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, হামাস যোদ্ধারা তাদের সৈন্যদের উপর আক্রমণ চালানোর জন্য নুসিরাত স্কুল ব্যবহার করেছিল এবং আল-মাওয়াসির আল-আত্তার জেলায় হামাসের ‘কোম্পানি কমান্ডার’ হামলার লক্ষ্য ছিল।
জাতিসংঘ পরিচালিত অনেকগুলো স্কুলের মধ্যে অন্তত সাতটি স্কুল চালু ছিল। মাত্র ১০দিনের মধ্যে এইগুলো ইসরায়েলি হামলার ধ্বংস হয়েছে। ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার বেশিরভাগ স্কুল বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল।
আল-মাওয়াসিতে শনিবার হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফ এবং তার একজন ডেপুটিকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৯০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।
ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান থেকে নিরাপদ অঞ্চল ঘোষণা করার পর কয়েক হাজার মানুষ আল-মাওয়াসিতে একটি তাঁবুর নগরীতে আশ্রয় নিয়েছিল।
গাজার হাসপাতালের মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাকুত এএফপি’কে বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী ‘আল-মাওয়াসি’ এলাকায় গণহত্যা চালায়, যেটিকে তারা নিরাপদ বলে ঘোষণা করেছিল।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক অভিযানে কমপক্ষে ৩৮,৭১৩ জন নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।