৬৪ জেলায় দখলদার ৬৩ হাজার


প্রকৌশল নিউজ রির্পোট:
৬৪ জেলায় দখলদার ৬৩ হাজার
  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন জানিয়েছে, দেশের ৬৪ জেলায় মোট ৬৩ হাজার ২৪৯ জন দখলদার ও দুষণকারী রয়েছে। পূর্বের তালিকায় দখলদার ছিল ৫৭ হাজার ৩৯০ জন। গত দুই বছরে ১৮ হাজার ৫৭৯ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৯ প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এইসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। এসময় বলা হয়, নদীর দখল ও দূষণ রোধে শুধু আন্তরিক হলেই হবে না, আইনের সঠিক প্রয়োগ আর কঠোর হাতে দখলদার ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে কাজ করে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নান বলেন, নদী কমিশনের মাধ্যমে নদীকে বাঁচানোর এই উদ্যোগ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ। আমরা এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। নদী কমিশন যে কাজ করছে তাতে সুধী মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ব্রহ্মপুত্র বাঁচাতে আমরা কাজ করছি। এটি আরও জোরদার করা দরকার। আগামী ক্যাবিনেট সভায় নদী কমিশনের বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো যাতে এটি আরও গুরুত্ব পায়।

নদী কমিশনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন,নদীর দখল ও দূষণ রোধে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ২০০ কোটি টাকা চেয়েছি। পাশাপাশি দুই প্রকল্পের প্রস্তাব জমা দিয়েছি পরিকল্পনা কমিশনে। করোনার কারণে আমাদের কিছু কাজ পিছিয়ে গেছে। অর্থ ও প্রকল্পগুলো অনুমোদন পেলে আমরা যেসব কাজে পিছিয়ে গেছি তা কাটিয়ে উঠতে পারবো।

চেয়ারম্যান বলেন, নদীর বিষয়ে সবার সচেতনতার জায়গাটি আস্তে আস্তে বাড়ছে। অনেক আইন আছে। সেগুলোর মধ্যে কিছু খুব জটিল। ফলে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রেও অনেক জটিলতা হয় অনেক সময়। পরিবেশের আইন দিয়ে আমরা পরিবেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছি। আইনের যে জরিমানা তা যথেষ্ট নয়। শাস্তি প্রয়োগ করতে হবে। সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। কাজ করতে গিয়ে কোথাও সমস্যা হলে সেখানে শক্তভাবে কঠোর হাতে দখলদারকে উচ্ছেদ করতে হবে।

অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, আমাদের সবার আগে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটাতে হবে। শুধু দখল আর দূষণ বন্ধ করা নয়, লালনও করতে হবে নদীকে। নদীর প্রতি আমাদের প্রতিজ্ঞা তো আছে, কিন্তু নদীর প্রতি দায়িত্ববোধ একটি বড় বিষয়। সম্মিলিত প্রয়াস খুব জরুরি। পরিবেশ এবং উন্নয়ন দুইটা বেছে নেওয়া কঠিন। একটা বেছে নিতে হবে।

কমিশনের সদস্য শারমিন সোনিয়া মুরশিদের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, বাপার সাধারণ সম্পাদক শরিফ জামিল, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মঞ্জিল মোর্শেদসহ অন্যরা।