ভাষা আন্দোলন জাতীয় চেতনার মুক্তির অনন্য সোপান


প্রকৌশল নিউজ:
ভাষা আন্দোলন জাতীয় চেতনার মুক্তির  অনন্য সোপান
  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এর চেয়ারম্যান মোঃ হান্নান মিয়া বলেছেন, বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুটি অর্জন আমাদের মাতৃভাষার অধিকার রক্ষা এবং স্বাধীনতা। পৃথিবীতে মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার্থে বাঙালি জাতিই প্রথম বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে। ’৫২’র ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় চেতনার মুক্তির এক অনন্য সোপান।

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এর উদ্যোগে রোববার ২১ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩ টায় 'বঙ্গবন্ধু ও ১৯৫২'র ভাষা আন্দোলন' শীর্ষক জুম সেমিনারে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় জুম মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন পরিচালক (বাণিজ্যিক), আব্দুস সামাদ,  জুম সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপকের ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) জিয়াউল হক হাওলাদার। 

প্রধান অতিথি আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধু ভাষার জন্য লড়াই করেছেন এবং তাঁর নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের ছয় দফা, স্বাধিকার এবং স্বায়ত্ত্বশাসন আন্দোলন সংঘটিত হয় এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সাল থেকেই ভাষার অধিকার রক্ষার্থে তরুণ ছাত্রনেতা লড়াই সংগ্রাম করেছেন এবং দুইবার জেল খেটেছেন।”  বক্তাগণ সরকারি দফতরে এবং সর্বত্র বাংলা ভাষা ব্যবহারের ও চর্চার উপর গুরুত্বারোপ করেন। সেমিনারের প্রবন্ধে উল্ল্যেখ করা হয়, ১৯৪৮ সালের ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ভাষা আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে এক সাধারণ ছাত্রসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে পূর্ববাংলা আইন পরিষদ ভবন অভিমুখে এক মিছিল বের হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন সদ্য কারামুক্ত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত্যু বাংলা ভাষার একনিষ্ট সেবক হিসেবে বাংলা ভাষার উন্নয়ন বিকাশে ও সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের সফল, সার্থক ও যোগ্য নেতা ছিলেন বলেই ভাষা সমস্যার ভার তার ওপর অর্পিত হয়েছিল।এই মহান নেতা বিশ্বের দরবারে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি আদায় এবং বাংলাভাষা ও বাংলা ভাষীদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সালে জাতিসংঘে বাংলাভাষায় ভাষণ দিয়ে যে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন, তা ইতিহাসের পাতায় চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বিশ্বসভায় বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার এটাই ছিল প্রথম সফল উদ্যোগ।