বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আজ ৯ মে, বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী।
২০০৯ সালের ৯ মে মারা যান তিনি। ড. ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
মৃত্যুর পর তার ইচ্ছা অনুযায়ী পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জে জন্ম নেন ওয়াজেদ মিয়া। ‘সুধা মিয়া’ হিসেবে পরিচিত অসাধারণ মেধার অধিকারী এ বরেণ্য ব্যক্তি। তিনি শৈশব থেকেই ছিলেন শিক্ষানুরাগী।
বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতেও পদচারণা ছিল তার। ষাটের দশকে তিনি সম্পৃক্ত হন ছাত্রলীগের সঙ্গে। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়ে কিছুদিন জেলও খাটেন তিনি।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণী দিয়েছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর এম এ ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীর সব আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করা হয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার জন্মস্থান রংপুরে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
রংপুর ও পীরগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সকালে পৈতৃক নিবাস ফতেহপুর গ্রামে ড. ওয়াজেদ মিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও কবর জিয়ারত করাসহ সুবিধাজনক সময়ে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়া মোনাজাত করা হবে।
বিকেলে ড. এম এ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন ও জেলা ছাত্রলীগ অসহায় দুস্থ মানুষদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করবে।
ড. ওয়াজেদ স্মৃতি পরিষদ, রংপুর জেলা, মহানগর ও পীরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন সীমিত পরিসরে এসব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।