৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচারের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে দুদক
আমদানি ও রপ্তানির আড়ালে দেশ থেকে ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচারের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সচিব ড. মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘দেশ থেকে বছরে ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচারের বিষয়ে একটি অভিযোগ পায় দুদক। এরপর বিষয়টি অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কমিশন।’
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি।
ড. হাওলাদার বলেন, ‘কতিপয় গার্মেন্টস মালিকদের বিরুদ্ধে কিছু পাবলিক সার্ভেন্টের সহযোগিতায় অবৈধ সম্পদ অর্জনপূর্বক আমদানি ও রপ্তানির আড়ালে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচার এবং আল মুসলিম গ্রুপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রপ্তানীর আড়ালে ১৭৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের একটি অভিযাগ পাওয়ার পর দুদক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দুদকের একটি অনুসন্ধান টিম অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অনুসন্ধান টিম প্রতিবেদন দাখিল করলে তা পর্যালোচনা করে কমিশন আইন মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এজন্য তিন সদস্যের একটি টিম কাজ করছে।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ওভার ইনভয়েসিংয়ের অভিযাগে অনুসন্ধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের চাহিদার ভিত্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ওভারইনভয়েসিং সংক্রান্ত কিছু তথ্য পাঠায়, যার ভিত্তিতে দুদক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে। বর্তমানে উক্ত টিম অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অনুসন্ধানের বিষয়বস্তু ব্যাপক হওয়ায় এ বিষয়ে অনুসন্ধান সম্পন্ন করতে সময়ের প্রয়োজন। দুদক তার চাহিদার প্রেক্ষিতে এনবিআর থেকে তথ্য পেতে শুরু করেছে। আশা করা যায়, এখন থেকে এনবিআর ওভার ইনভয়েসিংয়ের তথ্য পাওয়ামাত্র নিয়মিতভাবে দুদককে তথ্য সরবরাহ করবে। বিদেশে অর্থ পাচার রোধে দুদক অত্যন্ত কঠোর।’
তিনি আরও বলেন, ‘তদন্তযোগ্য তথ্য পাওয়া মাত্র দুদক অর্থ পাচার রোধকল্পে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে দুদক বিএফআইইউ এবং সেন্ট্রাল অথরিটি তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা গ্রহণ করে।’
প্রকৌশল নিউজ/এস