স্বপ্নের ‘পদ্মা সেতু’, অপেক্ষা মাত্র ৩টি স্প্যানের
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে দ্রুত গতিতেই। স্টিল ও কংক্রিটের মিশেলে তৈরি হচ্ছে দেশের সবথেকে বড় এই সেতু। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে এরই মাঝে বসানো হয়েছে ৩৮টি স্প্যান। আর মাত্র তিনটি স্প্যান বসলেই পুরোটাই দৃশ্যমান হবে পদ্মা সেতু।
সর্বশেষ, ২১ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১ ও ২ নম্বর পিলারের ওপর পদ্মা সেতুর ৩৮তম স্প্যান বসানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ৫ হাজার ৭০০ মিটার (প্রায় পৌনে ৬ কিলোমিটার) দৃশ্যমান হয়েছে।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে একই দেশের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করছে বাংলাদেশের আব্দুল মোমেন কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।
৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৯০ দশমিক ৫০ ভাগ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮৮ দশমিক ০৩ ভাগ। নদী শাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৭৫ ভাগ। এ বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৩ হাজার ৭৯৬ দশমিক ২৪ কোটি টাকা।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে প্রথম দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। বর্ধিত তারিখ অনুসারে ২০২১ সালের জুন মাসে সেতুর সব ধরনের কাজ শেষ করে জনসাধরনের জন্য উন্মুক্ত করার কথা রয়েছে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। উপরে থাকবে সড়কপথ। আর নীচ দিয়ে চলবে ট্রেন।