আধুনিক দ্বীপ ভাসানচরঃ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচর দ্বীপকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এছাড়া, দ্বীপটিতে রোহিঙ্গাদের জন্য সব ধরনের সুবিধা রয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এই দ্বীপের আয়তন ১৩ হাজার একর। ভাসানচরে রয়েছে সমস্ত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, বছরব্যাপী মিঠাপানি, সুন্দর হ্রদ, অবকাঠামো এবং উন্নত সুবিধা।
বিদ্যুৎ ও পানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ, কৃষি জমি, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, দুটি হাসপাতাল, চারটি কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, টেলিযোগাযোগ পরিষেবা, বিনোদন, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, খেলার মাঠ রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের জন্য গড়া ভাসান চর আবাসন কংক্রিট দিয়ে নির্মিত, যেন ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে টিকে থাকে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান ভাসানচরে আঘাত করলেও আবাসন কাঠামোর কোনো ক্ষতি হয়নি। ভাসানচরে রয়েছে ১৪৪০টি বাড়ি এবং ১২০টি আশ্রয় কেন্দ্র।
দ্বীপটি নৌপথ দিয়ে মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত। বাংলাদেশ সরকার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য স্যানিটেশন এবং চিকিৎসা সুবিধার পাশাপাশি পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করেছে।
মহিলা পুলিশ সদস্যসহ পুলিশ মোতায়েন করে দ্বীপে পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভাসানচর এলাকা পুরোপুরি সিসিটিভি ক্যামেরায় আচ্ছাদিত বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার বিরোধিতার মধ্যেও শুক্রবার প্রথম ধাপে ১৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে।