বসুন্ধরার এমডি’র জন্যই হুইপপুত্র শারুনের সংসার ভেঙ্গেছে!
দেশজুড়ে আলোচিত গুলশান কাণ্ডে বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের প্রেমিকার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের পর ভাইরাল হয় তার বেশকিছু ছবি ও হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট। চট্টগ্রাম-১২ আসনের সংসদ সদস্য ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে শারুন চৌধুরীর সঙ্গেও মুনিয়ার কিছু কথোপকথনের ক্রিনশট ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে তার কাছে জানতে চায় গণমাধ্যম।
তিনি বলেন, সূত্রের জানতে চাওয়া বিষয়গুলো তিনি জানিয়েছেন। তবে কে তাকে ফোন করেছিলেন, সে ব্যাপারে হুইপপুত্র কিছু বলতে চাননি।
শারুন বলেন, তার কাছ থেকে গতকাল বিকেলে একটি সূত্র মোসারাতের সঙ্গে কথোপকথনের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে জানতে চেয়েছে, তিনি মোসারাতকে চেনেন কি না। শারুন জানান, মোসারাতের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। গত বছর মোসারাত ফেসবুকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনিই তাকে জানান, বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে তার সাবেক স্ত্রীর সম্পর্ক হয়েছে।
তবে শারুনের দাবি, মোসারাতের মৃত্যুর পর ফেসবুকে তার সঙ্গে কথোপকথনের যে স্ক্রিনশট ছড়ানো হচ্ছে, সেগুলো মিথ্যা। সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ে এই কথোপকথনগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করারও দাবি জানিয়েছেন শারুন।
ছড়িয়ে পড়া স্ক্রিনশটে কথোপকথন কত তারিখের, তা স্পষ্ট নয়। সময় বিকেল পাঁচটা বাজার কিছু আগে। খুদে বার্তার ওই কথোপকথনে মোসারাত মুনিয়া শারুনকে লেখেন, তিনি ভালো নেই। এরপর লেখেন, ‘উনি তো আমাকে বিয়ে করবে না। কী করব আমি?’ জবাবে শারুন লেখেন, ‘আগেই বলেছিলাম, ওর কথা শুইনো না। ও আমার বউকে বলছে বিয়ে করবে, কিন্তু করে নাই। মাঝখানে আমার মেয়েটা মা ছাড়া হয়ে গেছে।’ তবে এ বার্তা আলাপে কোথাও আনভীরের নাম উল্লেখ করেননি কেউ। যদিও ধারণা করা হচ্ছে, কথোপকথনটির সত্যতা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ চন্দ্র চক্রবর্তী বলেছেন, পরীক্ষা–নিরীক্ষার আগে এর সত্যতা সম্পর্কে বলা যাচ্ছে না।