২০২২ সালের জুনে পদ্মাসেতু উন্মুক্ত করা হবে, আশাবাদ ওবায়দুল কাদেরের


প্রকৌশল নিউজ:
২০২২ সালের জুনে পদ্মাসেতু উন্মুক্ত করা হবে, আশাবাদ ওবায়দুল কাদেরের
  • Font increase
  • Font Decrease

পদ্মাসেতুর মাওয়া প্রান্তে ভায়াডাক্টের সর্বশেষ গার্ডার শুক্রবার স্থাপনের মধ্য দিয়ে পুরো সেতুর স্ট্রাকচারের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২০২২ সালের জুন মাসে পদ্মাসেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সড়ক পারিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

রোববার (২ মে) সকালে সিলেট জোননের বিআরটিসি ও বিআরটএ'র কর্মকর্তাদের সাথে সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মতবিনিময় সভায় একথা জানান তিনি। 

এ পর্যন্ত মূলসেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি শতকরা ৯৩ দশমিক দুই পাঁচ ভাগ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, নদী শাসন কাজের অগ্রগতি শতকরা ৮৩ ভাগ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৫.৫ ভাগ।

এসময় করোনাভাইরাস ওবায়দুল কাদের বলেন, এই ভাইরাসকে বুঝা বড়ই মুশকিল, কখন কি রূপ ধারণ করে বুঝা যায় না।  তাই স্বাস্থ্যবিধি ও শতভাগ মাস্ক পরার কোন বিকল্প নেই। আমাদেরকে আরও মনোযোগী হতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করায়।

ভারতে আজকে কি অবস্থা, একটি বেড ও অক্সিজেনের জন্য হাহাকার, হাসপাতালে যাওয়ার আগেই মানুষ মারা যাচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের শ্মশান ও কবরস্থান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে প্রতিবেশী ভারতের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারের বিপদজনক বার্তা থেকে। 

ভ্যাকসিনের জন্য উদ্বেগের কোন কারণ নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন মানবিক নেত্রী যখন পাশে আছে তখন এই দু:সময় একদিন কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ। 

ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক প্রকল্পের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্প হচ্ছে এটি, তাই সড়কটি চার লেনে উন্নিত করার বিষয়ে অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন এই প্রকল্পের কাজ ঝুলে থাকলেও সম্প্রতি গতি পেয়েছে এবং ইতিমধ্যেই নির্মাণ তদারকি পরামর্শক নিয়োগের লক্ষ্যে এডিবির সম্মতিও পাওয়া গেছে।

এই প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রধান প্রকৌশলীকে এ ব্যাপারে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সিলেট বিআরটিএ'কে দুর্নীতির অনিয়ম থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশ দেন। বিআরটিসিকে লোকসানের বৃত্ত থেকেও বেরিয়ে আসতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন সড়ক পারিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।