মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদেরকে বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির


সূত্রঃ বাসস
মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদেরকে বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদেরকে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন খাতে আরো বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মো. শুহাদা ওসমান তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করার সময় রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বাসসকে ব্রিফ করেন।

মালয়েশিয়ার নতুন হাইকমিশনারকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বিনিয়োগসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন,সম্প্রতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর দু’দেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।

মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জনশক্তির অন্যতম গন্তব্যস্থল উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের শ্রমশক্তি উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তালিকাভুক্ত যে ১৮ হাজার শ্রমিক নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তারা যেন মালয়েশিয়ায় যেতে পারেন সেই লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে রাষ্ট্রপতি মালয়েশিয়ার সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

রাষ্ট্রপতি আশা করেন যে, নতুন হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালনকালে এ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত হবে ।

আগামী মাসে মালয়েশিয়া আসিয়ানের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আরো আশা প্রকাশ করেন, আসিয়ানের সেক্টোরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে সহযোগিতা ও সমর্থন দেবে।

সাক্ষাৎকালে মালয়েশিয়ার নতুন হাইকমিশনার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

তিনি দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী এবং প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বঙ্গভবনে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট এর একটি চৌকস দল হাইকমিশনারকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।