বাংলাদেশ থেকে আরো জনশক্তি নিয়োগ, ভিসা সহজ করতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির


সূত্রঃ বাসস
বাংলাদেশ থেকে আরো জনশক্তি নিয়োগ, ভিসা সহজ করতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির
  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ থেকে আরো দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ ও বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সে দেশে ভিসা পদ্ধতি সহজ করতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

রাষ্ট্রপ্রধান রাশিয়াতে আরো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগদানেরও  আহ্বান জানান।

বাংলাদেশে রাশিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জি খোজিন আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশকালে তিনি এই আহ্বান জানান। 

পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. সরওয়ার আলম এক ব্রিফিংয়ে জানান, বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে তাদের নিজ দেশে প্রত্যর্পণে  রাশিয়া সরকারের সহযোগিতা চান রাষ্ট্রপতি।

নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সবসময়ই রাশিয়ার সঙ্গে অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক বজায়ে রেখে আসছে। বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দিনে দিনে এই সম্পর্ক  ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আগামী দিনগুলোতে রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

তিনি বাংলাদেশে গম ও সার সরবরাহের জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান।

নতুন রাষ্ট্রদূতের মেয়াদে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করেন রাষ্ট্রপতি ।

বাংলাদেশে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তার জন্য রাশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, সময়মতো এই প্রকল্প শেষ করা খরচ-নিয়ন্ত্রণ, বাজেট ব্যবস্থাপনা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য অপরিহার্য।

রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশের উন্নয়নে রাশিয়ার অব্যাহত সহায়তার জন্য রুশ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনেক গভীর এবং ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি ।

পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থার সাথে সাথে অভিন্ন স্বার্থের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে অব্যাহত সহযোগিতা আগামী দিনে আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। 

রাষ্ট্রদূত ঢাকায় তাঁর দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী, প্রেস সচিব মো. সরওয়ার আলম এবং রাশিয়া দূতাবাসের মিনিস্টার-কাউন্সেলর একেতেরিনা সেমেনোভা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, বঙ্গভবনে পৌঁছালে, প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি চৌকস দল রাষ্ট্রদূতকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।