‘হেফাজতি মোল্লাদের গ্রেপ্তার মানে আলেম-ওলামা গ্রেপ্তার নয়’


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
‘হেফাজতি মোল্লাদের গ্রেপ্তার মানে আলেম-ওলামা গ্রেপ্তার নয়’
  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এক বিবৃতিতে বিএনপি, হেফাজতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের 'সরকার গণহারে আলেম-ওলামাদের গ্রেফতার করছে' বক্তব্যের প্রতিবাদ করে বলেছেন, সহিংসতা-নাশকতা-জ্বালাও-পোড়াও-ধ্বংসাত্মক তাণ্ডবের সুনির্দিষ্ট ফৌজিদারি অভিযোগে হেফাজতি রাজনৈতিক মোল্লাদের গ্রেফতার মানে গণহারে আলেম-ওলামা গ্রেফতার নয়।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, সমগ্র দেশবাসীর চোখের সামনে বায়তুল মোকাররম মসজিদ, হাটহাজারি মাদ্রাসাসহ কয়েকটি মাদ্রাসা থেকে এবং ফেসবুকে লাইভ ও ইউটিউব ব্যবহার করে এই হেফাজতি রাজনৈতিক মোল্লারা প্রকাশ্যে জ্বালাও-পোড়াও-সহিংসতা-নাশকতার উস্কানি ও হকুম দিয়েছে।

ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে হেফাজতি মোল্লারা প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর মুর্যাসল, এসপির কার্যালয়, পুলিশের থানাসহ সরকারি অফিস-আদালত-স্থাপনা, ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, রেলস্টেশন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঘরবাড়ি, এম্বুলেন্সসহ সরকারি-বেসরকারি যানবাহনে হামলা করে ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করেছে।

জাসদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আইন সবার জন্য সমান। সুনির্দিষ্ট ফৌজদারি অপরাধের সাথে যুক্ত থাকার হাতে নাতে প্রমাণ থাকার পরও অপরাধীকে গ্রেফতার করা যাবে না কেন? কওমি মাদ্রাসার পরিচালক, প্রিন্সিপাল, শিক্ষক নামধারী হেফাজতি রাজনৈতিক মোল্লারা কি দেশের সংবিধান-আইন-আদালতের উর্ধে?

তারা বলেন, একজন কোরআনে হাফেজ ফৌজদারি অপরাধ করলে কি তাকে গ্রেফতার করা যাবে না? তারা বলেন, হেফাজতি মোল্লারা রাজনৈতিক মোল্লা। এরা আলেম, ওলামা, ইসলামি চিন্তাবিদ, ইসলামি দার্শনিক, ইসলামি পণ্ডিত, ধর্মীয় নেতা না, এমনকি এরা ধর্মপ্রচারকও না। এরা রাজনীতি করে। এরা রাজনৈতিক মোল্লা।

জাসদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, হেফাজতি রাজনৈতিক মোল্লাদের গ্রেফতারের বিরোধীতা করে বিএনপি আবারও প্রমাণ করলো বিএনপিই সংশোধন হয়নি, বদলায়নি। বিএনপি সহিংসতা-নাশকতা-অন্তর্ঘাত-আগুন সন্ত্রাসের রাজনৈতিক পথেই আছে এবং হেফাজত বিএনপির ভাড়াটে রাজনৈতিক খেলোয়াড়। বিএনপি ও হেফাজত আগুন সন্ত্রাস-সহিংসতা-নাশকতা-অন্তর্ঘাতের মাধ্যমে অশান্তি-অস্থিতিশীলতা-অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি সরকার উৎখাতের দিবাস্বপ্ন দেখছে।

তারা বলেন, হেফাজতি রাজনৈতিক মোল্লারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করে যতই নাকে খত দিক, দুঃখ প্রকাশ করুক, মাফ চাক না কেন এদের ছাড় দেয়া হবে সরকার ও দেশের জন্য আত্মঘাতি। কারণ রাজনৈতিক মোল্লারা রেজিস্ট্রার্ড বেঈমান ও বিশ্বাসঘতক। এরা পাকিস্তানের দালালি আর বাংলাদেশের বিরোধীতার রাজনীতি কোনো দিনই ছাড়বে না। বার বার প্রমাণ হয়েছে এরা সুযোগ পেলেই বাংলাদেশ রাষ্ট্র-সংবিধান-বঙ্গবন্ধু-জাতীয় পতাকা-জাতীয় সঙ্গীত-মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতার বিরোধীতা করবে ১৯৭১ সালের মতই। জাসদ নেতৃদ্বয় বলেন, শুধু সরকার ও প্রশাসনের উপর নির্ভর করে না থেকে সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষক ও পার্টনারদের বিরুদ্ধে মাঠে রাজনৈতিক শক্তি সমাবেশ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

প্রকৌশল নিউজ/এমএস