পীরগঞ্জে পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত


আজাদুল ইসলাম আজাদ, পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:
পীরগঞ্জে পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের পীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট পরমানু বিজ্ঞানী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ফতেপুরস্থ মিয়া বাড়িতে মিলাদ-মাহফিল ও তার কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পনের মধ্য দিয়ে মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়। সকাল সাড়ে ১০ টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে- রংপুর জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ছায়াদত হোসেন বকুল, বেগম রোকেয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ্, রংপুর জেলা পুলিশের পক্ষে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডল, ভাইস চেয়ারম্যান শফিউর রহমান মন্ডল মিল।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা- বিরোদা রানী রায়, রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনিসহ উপজেলা আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া তার  বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন সায়াহ্নে বিগত ২০০৯ সালের ৯ মে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৭ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ফতেপুর গ্রামের আবদুল কাদের মিয়া ও মা ময়েজুন্নেসার ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ।

তিনি ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার লালদীঘির ফতেহপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম মিয়া পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।

ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি ১৯৬১-৬২ শিক্ষা বছরের জন্য হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার হয়ে কারা বরন করেন।

ড. ওয়াজেদ মিয়া জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানবিষয়ক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। গবেষণামূলক ও বিজ্ঞানবিষয়ক তার অনেক প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকায় এবং সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। এম এ ওয়াজেদ মিয়ার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে পারিবারিক কবর স্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।