জিকে শামীম ইস্যুতে ১৩ প্রকৌশলীর অভিযোগ পরিসমাপ্ত
গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীম ও অন্যান্য ঠিকাদারদের নিকট হতে শত শত কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে বড় বড় ঠিকাদারী কাজ পাইয়ে দেওয়া, অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ বিদেশে অর্থ পাচার সংক্রান্ত অভিযোগে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৩ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিসমাপ্তি টেনেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সেই সাথে অভিযুক্ত প্রকৌশলীদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে দুদক।
অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পাওয়া প্রকৌশলীরা হলেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইলিয়াস আহমদ, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দীন আহাম্মদ, নির্বাহী প্রকৌশলী গণপূর্ত বিভাগ থেকে ক্যাডার পরিবর্তন করে সচিবালয়ে যোগ দেওয়া মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল হক, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আফছার উদ্দিন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ.কে. এম সোহরাওয়ার্দ্দী, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন চাকমা, গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল মোমেন চৌধুরী, গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুল কাদের চৌধুরী, গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ রোকন উদ্দিন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মোঃ মঈনুল ইসলাম, জাতীয় গৃহায়ণ কতৃপক্ষের বরখাস্তকৃত নির্বাহী প্রকৌশলী মুনিফ আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ণ কতৃপক্ষের সাময়িক বরখাস্তকৃত উপসহকারী প্রকৌশলী আশ্রাফুজ্জামান।
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সাবেক প্রকৌশলী এস.এ.এম ফজলুল কবীরের স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ ছিল তা ইতিমধ্যে নিস্পত্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শামীমের প্রতিষ্ঠান জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড এককভাবে গণপূর্তের বেশকিছু প্রকল্পের নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করেছে। আবার যৌথভাবে আরও ৪২টি প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত ছিল, যা সারা দেশে চলমান অধিদপ্তরের মোট প্রকল্পের ২৮ শতাংশ। সব কটি প্রকল্পের চুক্তিমূল্য ৪ হাজার ৬৪২ কোটি ২০ লাখ টাকা। যার মধ্যে ১ হাজার ৩০১ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল। গত এক দশকে গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি. কে. শামীম গণপূর্তের বিপুল পরিমাণ কাজ করেছেন, যার পরিমাণ অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা বলে জানা যায়। জি কে শামীমের টেন্ডার বানিজ্য, কাজের অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে অভিযুক্ত প্রকৌশলীদের সম্পৃত্ততার বিষয়ও তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।