আনোয়ারের হলুদ তরমুজ বাগান
সবুজ গাছের লতায় ডগায় ছোট-বড় তরমুজে নুয়ে পড়েছে মাচা। তরমুজের রঙ হলুদ। গত বছর কালো তরমুজ চাষের পর এবার ইউটিউব দেখে সফলভাবে হলুদ তরমুজ চাষ করেছেন কুমিল্লার আনোয়ার হোসেন। হলুদ তরমুজ চাষে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছেন আনোয়ার। বর্তমানে বাজারে এই জাতের তরমুজের প্রতি কেজির দাম একশ টাকা। সে হিসেবে প্রায় দশ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন আনোয়ার।
পনের-বিশ দিনের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হবে তরমুজ, তাই গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটছে আনোয়ারের।
দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুর গ্রামে নিজের তরমুজ ক্ষেতে দাঁড়িয়েই এ কথা বললেন আনোয়ার। তিনি জানান, প্রায় ৫০ দিন আগে ৬৫ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করেন তিনি। এর মধ্যে হলুদ তরমুজ চাষ করেন ২০ শতক জমিতে এবং বাকি ৪৫ শতক জমিতে চাষ করেন কালো তরমুজ। জমিতে সবমিলিয়ে প্রায় চার হাজার তরমুজ আছে।
এখন পর্যন্ত হলুদ তরমুজ চাষে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছেন আনোয়ার। বর্তমানে বাজারে এই জাতের তরমুজের প্রতি কেজির দাম একশ টাকা। সে হিসেবে প্রায় দশ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন আনোয়ার।
তিনি জানান, প্রথমে ইউটিউব দেখে তরমেুজ চাষ শুরু করলেও সব সময় তাকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিতেন স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার।
আনোয়ার হোসেনের হলুদ তরমুজ দেখে অনেকটাই বিস্মিত দক্ষিণ গলিয়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল প্রধানসহ কৃষি কর্মকর্তারা।
ইউপি চেয়ারম্যান জামাল প্রধান বলেন, ‘আনোয়ার হোসেন গত বছর জুন মাসে কালো তরমুজ চাষ করেছেন। সে সময় অনেকে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করেছে। সবকিছু ছাপিয়ে আনোয়ার তখন সফল হয়েছেন। তার দেখাদেখি অন্যরাও এবার উন্নত জাতের তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।’
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আনোয়ার হোসেন গত বছর ইউটিউব দেখে কালো তরমুজ চাষ শুরু করেন। সে সময় তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা। এবারও তিনি হলুদ তরমুজ চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘হলুদ তরমুজ চাষে কুমিল্লার মাটি বেশ উপযোগী। কালো ও হলুদ তরমুজ রসালো। খেতেও সুস্বাদু।’