কর্মকর্তাদের অফিসে বসে না থেকে কৃষকের জমিতে যাবার তাগিদ মন্ত্রীর


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
কর্মকর্তাদের অফিসে বসে না থেকে কৃষকের জমিতে যাবার তাগিদ মন্ত্রীর
  • Font increase
  • Font Decrease

কর্মকর্তাদের অফিসে বসে না থেকে কৃষকের জমিতে যাবার তাগিদ দিয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, শুধু অফিসে বসে না থেকে কর্মকর্তাদের কৃষকের জমিতে যেতে হবে। তাদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ ও নির্দিষ্ট ফসলের ভবিষ্যৎ চাহিদা বোঝাতে হবে। তবেই কৃষি উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।

শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ হলে আয়োজিত চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।

অঞ্চলভিত্তিক কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যে অঞ্চলে যে ফসল ভালো হয় তার ওপর জোর দিতে হবে। কৃষকের আয় বাড়াতে কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের সকল মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য এবং পুষ্টির যোগান দিতে সমন্বিত চাষ বাড়াতে কর্মকর্তাদের আরও আন্তরিক হওয়ার পাশাপাশি কৃষকদের কাছে যেতে হবে। তাদের কথা শুনতে হবে।

চট্টগ্রাম অঞ্চলে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ৭২৫ কিলোমিটার খালকাটা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এছাড়া কৃষিকে আধুনিকীকরণ ও বহুমাত্রিক করতে ২১১ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের সুফল প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের কাছে পৌঁছাতে হবে। প্রকল্পের সাথে কৃষকের যোগাযোগ বাড়াতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষি উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হয়। তা নিরসনের চেষ্টা চলছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি শুধু মানুষের খাদ্যের যোগান দেয় না, শিল্পের কাঁচামালেরও অন্যতম উৎস কৃষি। তাই কৃষিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় কৃষি অন্যতম সহায়ক খাত হিসেবে কাজ করেছে।

সভায় জেলাসমূহের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা নিজ নিজ জেলার কৃষির বর্তমান অবস্থা, সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয় তুলে ধরেন।

দেশের প্রায় এক দশমাংশ এলাকা পাহাড়ি এবং এসব এলাকায় প্রচলিত কৃষির পাশাপাশি অপ্রচলিত ফলের চাষাবাদ খুবই লাভজনক হবে বলে মন্তব্য করেন তারা।

পাহাড়ি এলাকাগুলোতে কাজুবাদাম, কফি ও ড্রাগন ফল উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন কৃষি কর্মকর্তারা।

সভায় অন্যদের মধ্যে কৃষি সম্প্রারণ উইংয়ের সরেজমিন পরিচালক একেএম মনিরুল আলম, হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, অতিরিক্ত পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হুদা, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক পবন কুমার চাকমা বক্তব্য দেন।