খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাটির গুরুত্ব অপরিসীম: কৃষিমন্ত্রী


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক :
খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাটির গুরুত্ব অপরিসীম: কৃষিমন্ত্রী

আব্দুর রাজ্জাক

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশের মানুষের খাদ্য  ও পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য মাটির গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের জীবনজীবিকা ও খাদ্য নিরাপত্তা নির্ভর করে টেকসই মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনার ওপর ।

শনিবার অনলাইনে ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস’ পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনার, শোকেসিং এবং সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। কৃষি মন্ত্রণালয় দেশে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস ২০২০ পালনের জন্য রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করে। এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো 'মাটিকে সজীব রাখুন, মাটির জীববৈচিত্র্য রক্ষা করুন (keep soil alive, protect soil biodiversity). 

তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে ১৭ কোটি মানুষ রয়েছে যা ক্রমশ বাড়ছে, প্রতিবছর ২২ লাখ নতুন মুখ যুক্ত হচ্ছে; অন্যদিকে শিল্পায়ন, নগরায়ন, বাড়ি-ঘর নির্মাণ, রাস্তাঘাট তৈরিসহ নানা কারণে চাষের জমি কমছে। এই দুই চ্যালেঞ্জের সাথে যুক্ত হয়েছে- জলবায়ু পরিবর্তন। এসব বিবেচনায় নিয়ে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থা ও শস্যের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। সেজন্য মাটিকে সজীব রাখতে হবে, মাটির গুণাগুণ বজায় রাখতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, শুধু কৃষি নয়, মাছ, প্রাণিসম্পদ ও পোল্ট্রির খাদ্যও মাটি থেকে আসে। সেজন্যও মাটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এছাড়া, দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে যেয়ে শস্যের নিবিড়তা বাড়ছে কিন্তু মাটির উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে। টেকসই মাটি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাটির উৎপাদনশীলতা, মাটিতে গাছের অপরিহার্য পুষ্টি উপাদানের মান বজায় রাখতে হবে। 

ড. রাজ্জাক আরও বলেন, দেশে মাটির গুণাগুণ ধরে রাখতে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমি, পাহাড়ি এলাকার সমস্যাক্লিষ্ট জমিকে চাষের আওতায় আনার জন্য গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছে। যার মাধ্যমে টেকসই মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনায় সংস্থাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

পরে কৃষিমন্ত্রী 'সয়েল মিউজিয়াম সফটওয়্যার' উদ্বোধন ও ' ল্যান্ড ডিগ্রেডেশন ইন বাংলাদেশ' বই এর মোড়ক উন্মোচন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিধান কুমার ভান্ডারের সভাপতিত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, এফএও'র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।