ই-ভ্যালিতে পণ্য চাইতে গিয়ে মারধরের শিকার গ্রাহক


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক :
ই-ভ্যালিতে পণ্য চাইতে গিয়ে মারধরের শিকার গ্রাহক
  • Font increase
  • Font Decrease

সময়ের আলোচিত ও সমালোচিত ই-কমার্স স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি পণ্য দেওয়া কথা বলে গ্রাহককে অফিসে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয় বলে হাসেম আহমেদ নামে এক ভুক্তভোগী দাবি করেছেন।

বুধবার অর্ডার করা দুটি মোবাইল ইভ্যালির অফিসে আনতে গিয়ে সেখানের কর্মীদের হাতে তিনি এই মারধরের শিকার হন বলে তার ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন।

ভুক্তভোগী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আজ ইভ্যালির অফিস থেকে এক বুকভরা কষ্ট নিয়ে বের হয়ে আসছি। আর কখনো যাবো না হয়ত, আর ইভ্যালিকেও আল বিদা।’

‘ইভ্যালিতে দুইটা মোবাইল অর্ডার করেছিলাম। ডেলিভারি না পেয়ে আজকে (বুধবার) গিয়েছিলাম দুপুর ১ টায়। সেই থেকে দুপুর ৪টা অবধি কুকুরের মত দৌঁড়েছি ৩ তালা, নিচতালা, অফিসের বাইরে সব জায়গায়। ৩/৪ জায়গায় ইনভয়েস লিখেছিও..।’

‘কিন্তু দিন শেষে রাত ৮.৩০ এর দিকে ইভ্যালির কর্মীদের হাতে মার খেয়ে বাসায় ফিরেছি। ইভ্যালির কর্মীরা যেভাবে বুকের ওপর আর মুখে ৩/৪ টা ঘুসি দিসে আমাকে ওই রকম ঘুসি আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও দিতে পারে না। আমি জানি ভাই আপনি (ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল) আজকে আপনার সকল কর্মীদের অনেক বাহবা দিবেন। আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে গেছিলাম। কিন্তু দিন শেষে মার খেয়ে এক বুক হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হলো। আমি ভাই আপনাকে অভিশাপ দিবো না মুখ দিয়ে। তবে স্পষ্ট বলতে চাই আজকের পর আর ইভ্যালি অ্যাপসে আমি ঢুকবো না। মোবাইল ২টি আছে। আরো ৩/৪টা জিনিস আছে। এগুলো পেলে পেলাম না পেলে নাই ’

ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল লিখেছেন, আমি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ দেখে ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত পদক্ষেপ আপনাদের জানাবো। ঘটনার জন্য আমি ব্যাক্তিগতভাবে দুঃখিত।

এ বিষয়ে জানতে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।

দীর্ঘদিন ধরে ইকমার্স প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালির বিরুদ্ধে নানা ধরনের প্রতারণার অভিযোগ উঠে আসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ই-ভ্যালির ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয়কে (আরজেএসসি) পৃথকভাবে চিঠি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।