নতুন মাদক এলএসডি ও ডিএমটিসহ চারজন আটক
রাজধানীর তেজগাঁও থানা এলাকা থেকে নতুন মাদক এলএসডি ও ডিএমটিসহ চারজনকে আটক করেছে র্যাব।
রোববার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-২-এর অধিনায়ক খন্দকার সাইফুল আলম।
আটক চারজন হলেন সৈয়দ মঈন উদ্দিন আহমেদ ওরফে শাদাব (২৯), মো. আব্রাহাম জোনায়েদ তাহের (২৫), স্বপ্নীল হোসেন (২২) ও সিমিয়ন খন্দকার (২৩)।
র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার সাইফুল আলম বলেন, ২৬ জুন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-২-এর একটি বিশেষ দল রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার লাভ রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে নতুন মাদক ৪০ ব্লট এলএসডি, ৬০০ মিলিগ্রাম ডিএমটি, ৬২ গ্রাম আমেরিকান ক্যানাবিজ এবং মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এলএসডি সম্বন্ধে ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি। এটি মূলত বিদেশ থেকে পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে দেশে আনা হয়। এর উচ্চমূল্য হওয়ায় এটি মূলত উচ্চবিত্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘অভিযানে আরেকটি নতুন ধরনের মাদক পাওয়া গেছে, যার নাম ডিএমটি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এটি একটি হ্যালুসিনোজেনিক ট্রিপটামাইন ড্রাগ। মূলত এটি এলএসডি সেবনের মতো। এটি সেবনের পরে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট গভীর আসক্তি তৈরি করে।’
আটককৃতদের বরাতে র্যাব-২-এর অধিনায়ক বলেন, ‘এটি সেবনের পর খুব দ্রুত হ্যালুসিনেশন হয় এবং তারা কল্পনার জগতে প্রবেশ করে। মূলত এ থেকে মারাত্মক দুর্ঘটনা হতে পারে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।’
তিনি জানান, ‘গ্রেপ্তার সৈয়দ মঈন উদ্দিন আহমেদ ওরফে শাদাব রাজধানীর উত্তরায় স্থানীয় এক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল হতে ও লেভেল শেষ করে ভারতের দার্জিলিংয়ে ২০১৩ সালে এ লেভেল পড়েন। এরপর তিনি ২০১৫ সালে পড়ালেখা করতে থাইল্যান্ডে যান। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের সঙ্গে এলএসডি ও ডিএমটি গ্রহণে আসক্ত হয়ে পড়েন। বাংলাদেশে এসেও ওই মাদক গ্রহণ অব্যহত রাখেন। তিনি এই মাদক বিদেশ থেকে বিভিন্ন পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে দেশে এনে নিজে গ্রহণ ও বিক্রি করেন। ’
অপর দিকে, মো. আব্রাহাম জোনায়েদ তাহের রাজধানীর একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে 'ও' লেভেল শেষ করে মালয়েশিয়া গমন করেন এবং ২০১৫-২০১৬ সাল পর্যন্ত পড়ালেখার জন্য অবস্থান করেন। পরবর্তীতে তিনি উচ্চশিক্ষার বিদেশ যান এবং সেখানে নিয়মিত এলএসডি ও ডিএমটি গ্রহণ করেন। ২০২০ সালে দেশে ফিরে আসেন ও এলএসডি-ডিএমটি সেবন ও বিক্রি করেন।
এ ছাড়া স্বপ্নীল হোসেন এবং সিমিয়ন খন্দকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। গ্রেপ্তার চারজন মাদক সেবন ও বিক্রি করতেন। এসব মাদকের উৎস এবং এর সরবরাহকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান র্যাব-২ এর অধিনায়ক খন্দকার সাইফুল আলম।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস