চিকিৎসক লিপি খুন : তদন্ত এখনো শেষ করতে পারেনি পুলিশ
নিজের শয়নকক্ষে খুন হয়েছিলেন চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান (লিপি)। সময়ের হিসাবে দেড়মাস চলে গেছে, তবুও কলাবাগানে চাঞ্চল্যকর সেই খুনের কোনো রহস্যই উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। কারা, কি কারণে চিকিৎসককে খুন করে মরদেহ পুড়িয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে সে ব্যাপারে কোনো ধরণের তথ্য পায়নি পুলিশ। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিতোষ চন্দ্র সাহা প্রকৌশল নিউজকে বলেন, ‘তদন্তের অংশ হিসেবে অনেক কিছু পাওয়া গেলেও এখনই বলা যাচ্ছে না।’ আমরা তথ্য প্রযুক্তি ও ফরেনসিক থেকে পাওয়া নানা বিষয়ে যাচাই বাছাই বা বিশ্লেষণ করছি। তদন্তের প্রয়োজনে বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।
তিনি বলেন, চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমানের স্বজনদের একাধিকবার থানায় ডেকে এনে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তারা কেউই সুনির্দিষ্টভাবে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্য দিতে পারেননি। শিগগিরই নিহতের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আমরা হাতে পাবো। সেক্ষেত্রে কখন, কিভাবে এবং কারা তাকে খুন করতে পারে সে বিষয় পরিষ্কার হওয়া যাবে। মূলত ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আমরা আছি।
শুধু ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নয়, এ ঘটনার নানান বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ, বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। যেন ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায় বলে জানান ওসি পরিতোষ।
গত ৩১ মে ভোরে কলাবাগানে ওই চিকিৎসকের বাসায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেই ক্ষান্ত থাকেনি, তার শোবার খাটের তোষকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তদন্তে সবচেয়ে বেশি বেগ পেতে হচ্ছে ওই বাসায় কিংবা বাসার আশেপাশে কোনো সিসি ফুটেজ না থাকায়। ঘটনার পর সিসি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোথাও থেকে এমন কোনো ফুটেজ সংগ্রহ করাও সম্ভব হয়নি। অবশ্য নিহতের মরদেহ, রুম ও সিঁড়ি থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ বিভাগ (সিআইডি)। তারা সেগুলো নিয়ে ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করছে।
সাবিরার ফ্ল্যাটে সাবলেটে থাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও মডেল কানিজ সুবর্ণাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিন্তু কোথাও থেকে এই হত্যাকাণ্ডের কোনো কিছু এখন পর্যন্ত পায়নি।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মে কলাবাগান ফাস্ট লেনের ৫০/১ বাসার ফ্ল্যাট থেকে ওই চিকিৎসকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। সাবিরা গ্রীনরোডের বেসরকারি হাসপাতাল গ্রীনলাইফে কর্মরত ছিলেন।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস