ইভ্যালিকে ১০ দিনের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা অথবা পণ্য দিতে হবে


প্রকৌশল প্রতিবেদক:
ইভ্যালিকে ১০ দিনের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা অথবা পণ্য দিতে হবে
  • Font increase
  • Font Decrease

ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১ মোতাবেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়া ২১৪ কোটি টাকা অবিলম্বে ফেরত প্রদান অথবা পণ্য সরবরাহের দাবি জানিয়েছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)।

রোববার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান টিক্যাবের আহ্বায়ক মুর্শিদুল হক।

তিনি বলেন, ‘নির্দেশিকা অনুযায়ী পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করা হয়ে থাকলে ক্রেতা ও বিক্রেতা একই শহরে অবস্থান করলে ক্রয়াদেশ গ্রহণের পরবর্তী সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) দিন এবং ভিন্ন শহরে বা গ্রামে অবস্থিত হলে সর্বোচ্চ ১০ (দশ) দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি প্রদান করতে হবে।’

‘অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি ঢাকাসহ সারাদেশের গ্রাহকদের হাজার হাজার অর্ডার ইভ্যালি, আলেশা মার্টসহ বিভিন্ন ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান মাসের পর মাস ধরে ফেলে রেখেছে। ১-৬ মাস পর্যন্ত অপেক্ষার পরও গ্রাহকদের পণ্য বা অর্থ কিছুই ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিসে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো ফল মিলছে না’ বলেন টিক্যাব আহ্বায়ক।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক জানায় ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭.১৮ কোটি টাকা। গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ ২১৩.৯৪ কোটি টাকা এবং মার্চেন্টদের নিকট হতে ১৮৯.৮৫ কোটি টাকার মালামাল বাকিতে গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।’

মুর্শিদুল হক বলেন, স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৩.৮০ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৬৫.১৭ কোটি টাকা। বাকি অর্থ কোথায় তার কোনো হদিস নেই। এ অবস্থায় গ্রাহকরা তাদের অগ্রিম পেমেন্ট করা অর্থ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিক্যাবের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের স্বার্থরক্ষায় ৩ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়-

১. ইভ্যালি, আলেশা মার্টসহ যে সকল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের অর্ডার মাসের পর মাস ধরে ফেলে রেখেছে ডিজিটল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১ অনুযায়ী ১০ দিনের মধ্যে সেসকল অর্ডারের বিপরীতে গ্রাহকদের পণ্য অথবা অর্থ ফেরত প্রদান করতে হবে।

২. ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ জমা পড়েছে, সেগুলো দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করতে হবে।

৩. ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে কোনো ধরনের আর্থিক অনিয়ম বা প্রতরণার আশ্রয় না নিতে পারে, সেজন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে ও অভিযোগ প্রমাণ হলে গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস