ই-অরেঞ্জের গোপন মালিক পুলিশ কর্মকর্তা!


প্রকৌশল প্রতিবেদক:
ই-অরেঞ্জের গোপন মালিক পুলিশ কর্মকর্তা!
  • Font increase
  • Font Decrease

১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানের প্রধান উপদেষ্টা বিকাশের কর্মকর্তা মাসরুক এবং চিফ অপারেটিং অফিসার আমান বর্তমানে কারাগারে। ই-অরেঞ্জে বিপুল অঙ্কের কালোটাকা বিনিয়োগের তথ্য পেয়েছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। মূলত ই-অরেঞ্জের গোপন মালিক একজন পুলিশ কর্মকর্তা।

কালোটাকার অনুসন্ধান করতে গিয়ে ইতোমধ্যে  ঢাকা  মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান জোনের 
একটি থানায় কর্মরত এক ইন্সপেক্টরের বিপুল ধন-সম্পদের খোঁজ মিলেছে। ওই পুলিশ ইন্সপেক্টর ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিনের আপন ভাই। এ সংক্রান্ত গোয়েন্দা রিপোর্ট সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।

যা আছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে : 
ই-অরেঞ্জের প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ইতোমধ্যে একটি চাঞ্চল্যকর গোয়েন্দা প্রতিবেদন জমা পড়েছে সরকারের উচ্চপর্যায়ে। সেখানে বলা হয়েছে- ই-অরেঞ্জের মূল পরিকল্পনাকারী পুলিশের এক কর্মকর্তা। যিনি বর্তমানে গুলশান জোনের একটি থানায় ইন্সপেক্টর তদন্ত হিসাবে কর্মরত আছেন। এ পুলিশ কর্মকর্তাই মূলত আড়ালে থেকে বোনের নামে ই-অরেঞ্জ নামের কোম্পানিটি খোলেন। তবে অজ্ঞাত কারণে জুলাই থেকে নাজনিন নাহার বিথী নামের এক নারীকে মালিক বানিয়ে কোম্পানিতে বসানো হয়। এছাড়া সোনিয়া মাহজাবিনের স্বামী মাসরুক রহমান ওরফে সুমন ই-অরেঞ্জের উপদেষ্টার পদে আছেন। গোপনে ই-অরেঞ্জের সঙ্গে যুক্ত হলেও তার পেশা ভিন্ন। তিনি মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত। 

ওই প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট পুলিশ ইন্সপেক্টরের বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্যও উল্লেখ করা হয়। সেখানে রাজধানীতে ৪টি ফ্ল্যাট, একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানির ডিলারশিপ, কৃষি জমি, অভিজাত ক্লাবের সদস্য পদসহ শত কোটি টাকার সম্পদের তথ্য রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে অভিজাত আবাসিক এলাকা নিকেতনে। এর একটিতে বসবাস করছেন সাগর নামে তার এক খালু। এছাড়া বিটিআই ল্যান্ডমার্ক টাওয়ারের পঞ্চম ফ্লোরে বাণিজ্যিক স্পেস, ইউনিলিভার ইন্টারন্যাশনালের ডিলারশিপ, টিএন্ডজি নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার। টিএন্ডজির দুটি শাখার একটি উত্তরা গরীবে নেওয়াজ এভিনিউ এবং অপরটি গুলশানে ডিসিসি মার্কেটের দ্বিতীয় তলায়। এছাড়া পূর্বাচলে ৩ নম্বর সেক্টরে একটি প্লট, কুড়িল বিশ্বরোড সংলগ্ন একটি আবাসিক এলাকায় ই এবং আই ব্লকে দুটি প্লট, খাগড়াছড়িতে রিসোর্ট নির্মাণের জন্য জায়গা, গ্রামের বাড়িতে ৫শ বিঘা কৃষিজমি। পাশাপাশি বিদেশেও তার মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ রয়েছে। গুলশানের আমেরিকান ক্লাব এবং জামান ক্লাবের সদস্য তিনি।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস