কুয়েতে দণ্ডিত সাবেক এমপি পাপুলের সঙ্গে ‘কানেকশন’ ছিল অমির
বাংলা সিনেমার গ্লামার গার্ল খ্যাত চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টায় সহযোগিতাকারী আলোচিত তুহিন সিদ্দিকী অমিকে নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্য একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সাংসদ কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলের সঙ্গে অমির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
অমির আশকোনায় সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের আড়ালে নারী পাচার করেই প্রচুর অর্থ কামিয়েছেন। শত শত কর্মী বিদেশে পাঠিয়ে ও প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হন অমি। বিদেশে কর্মী পাঠানোর সূত্র ধরে সাবেক এমপি কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলের সঙ্গে অমির পরিবারের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।
পরীমণির করা মামলায় দুই নম্বর আসামি অমি ক্লাবপাড়ায় একজন পরিচিত মুখ। তার বাবা তোফাজ্জল হোসেন এক সময় বিদেশে ছোটখাটো চাকরি করতেন। এরপর দেশে ফিরে ব্যবসা শুরু করেন।
ঢাকার উত্তরা ও আশকোনায় তাদের একাধিক বাড়ি ও প্লট রয়েছে। ওই এলাকায় এক নামে তাকে সবাই চেনেন।
অমিদের একাধিক আলিশান বাড়িতে রয়েছে সুইমিংপুলও। তাদের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ। সেখানে অনেক সম্পদ গড়েছেন। মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমও গড়েছেন অমি। দক্ষিণখানে একটি রিসোর্টের আড়ালে প্রায় প্রতিদিন মদ-জুয়ার আসর বসাতেন তিনি। ওই রিসোর্ট তার ‘রঙশালা’ নামে পরিচিত।
সূত্রে আরও জানা গেছে, নাসির ও অমির সিন্ডিকেট আগেও অনেক নারীর ওপর একই ধরনের নিপীড়ন চালিয়েছে। তবে নানা ভয়-ভীতি ও প্রলোভন দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ রাখা হয়। এবারও তাদের বিশ্বাস ছিল, পরীমণির ঘটনা তারা ধামাচাপা দিতে পারবেন। অবশেষে পরীমণিকাণ্ডে তাদের দীর্ঘদিনের কুকর্ম সামনে এলো।
সোমবার পরীমণির সাভার থানায় করা মামলায় নাসির উদ্দিন ও অমিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
এ ছাড়া উত্তরার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেফতারের সময় মাদক উদ্ধার করা হয়। মাদক উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অমি ও নাসিরকে মঙ্গলবার ৭ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। তাদের সঙ্গে থাকা তিন নারীকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস