সেই ব্রাহমা জাতের ১৮ টি গরু কোয়ারেন্টিনে
নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধভাবে আমদানি করা ব্রাহমা জাতের ১৭টি গরু সাভার ডেইরী ফার্মের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। গরুগুলোকে প্রাথমিকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন সাভার কেন্দ্রিয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের পরিচালক এস এম আওয়াল হক।
এর আগে সোমবার দুপুরে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে ১৮টি গরু। তবে বাংলাদেশে ব্রাহমা জাতের গরু আমদানির অনুমতি না থাকায় গরুগুলো জব্দ করে ঢাকা কাস্টম হাউস। তবে একটি গরু সাভারে আনার আগেই বাক্সের ভিতরে মারা যায়।
সরেজমিনে সাভার ডেইরী ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, আমেরিকা থেকে আনা ১৮টি গরুর মধ্যে ১৭টি গরু ডেইরী ফার্মের ভিতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটি গরু সাভারে আনার আগেই বাক্সের ভিতরে মারা যায়, সেটিকে ডেইরী ফার্মের ভিতরে মাটি খুঁড়ে কবর দেওয়া হয়েছে। পানির মধ্যে বালু ফেলে জায়গাগুলো সমান করে জীবিত গরুগুলোকে বিচরণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া গরুগুলোর দেখাশুনার জন্য ডেইরী ফার্মের লোকজনের পাশাপাশি সাদেক এগ্রোর পক্ষেও কয়েকজন লোক সেখানে অবস্থান করছেন।
সাভার কেন্দ্রিয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের পরিচালক এস এম আওয়াল হক জানান, গত ৫ জুলাই দুপুর আড়াইটায় টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে ব্রাহমা জাতের গরুগুলো। এই জাতের গরু আমদানির অনুমতি না থাকায় এবং বৈধ কোন কাগজপত্র না পাওয়ায় গরুগুলোকে জব্দ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সেগুলোকে কোয়ারেন্টিন করার জন্য সাভার ডেইরী ফার্মে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ ডেইরী ফার্ম এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাদেক এগ্রোর মালিক শাহ ইমরান জানান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনাপত্তি সার্টিফিকেট না থাকায় গরুগুলো জব্দ করা হয়েছে। আমি ৬-৭ মাস আগে ফাইল সাবমিট অনুমতি চাইলেও অধিদপ্তর বিভিন্ন তালবাহানা দেখিয়ে সেটি প্রসেস করতে দেরী করে। কিন্তু আমেরিকার সাথে চুক্তি অনুযায়ী আমাদের এয়ারলাইনস বুক করা ছিলো। তাই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এনওসি না পেলেও চুক্তির সময় অনুযায়ী তারা গরু পাঠিয়ে দিয়েছেন। কারণ আমেরিকায় কোন এনওসি’র প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র ইমপোর্ট করার জন্যই এনওসি প্রয়োজন হয়।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস