‘মেয়েদের সহ্য করতে পারছিল না মেসবাহ’
রাজধানীর উত্তরার একটি কোচিং সেন্টার থেকে মোহাম্মদ মেসবাহ নামের এক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
তবে মেসবাহ হত্যাকাণ্ডের শিকার নাকি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সহপাঠী ও পুলিশের ধারণা, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
সহপাঠীরা বলছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই মেসবাহ বিষণ্নতায় ভুগছিল। অনেকে মনে করছে প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছে সে। কয়েকদিন ধরে সে মেয়েদের সহ্য করতে পারছিল না।
মেসবাহ ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম জানান, করোনার আগে উত্তরার ৬নং সেক্টরে তিনভাই মিলে একটি কোচিং সেন্টার চালু করে। সেখানে তিনভাই একসঙ্গে থাকতেন। আমরা ধারণা করছি মেসবাহ আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার মেসবাহর লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। আমরা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস