স্বামীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে স্ত্রী, অত:পর...
অন্য মেয়ের সঙ্গে স্বামীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন স্ত্রী। প্রতিবাদ করায় ঘরে ছেড়ে চলে যান স্বামী। এতে ঘরে অভাব অনটন দেখা দেয়। প্রায় এক বছর স্বামীকে খুঁজে ফিরেন ভুক্তভোগী স্ত্রী। এরই মধ্য জানতে পারেন রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন তার স্বামী। স্বামীকে ফিরে পেতে পুলিশের কাছে সহযোগিতা ওই নারী। বিষয়টি মীমাংসা করে পুলিশ তার স্বামীকে পরিবারে ফিরিয়ে দিয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এআইজি মো. সোহেল রানা এ তথ্য জানান।
সোহেল রানা জানান, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে এক গৃহবধূ জানান- তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সন্তানের বয়স এক বছর। সন্তান জন্ম নেয়ার কিছুদিন পর থেকে তার স্বামী অন্য মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একদিন অপরিচিত এক মেয়ের সঙ্গে স্বামীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন। প্রতিবাদ জানান। সেই থেকে তার স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। এক পর্যায়ে তার স্বামী তাকে এবং তার সন্তানকে ফেলে রেখে চলে যান। প্রায় এক বছর সে তার স্বামীকে নানা জায়গায় খুঁজেছে। স্বামীর আত্মীয়-স্বজনরাও তাকে সহযোগিতা করেনি। কোনো ভাবেই স্বামীকে খুঁজে পায়ননি। শিশু সন্তানকে নিয়ে সীমাহীন অসহায়ত্বের মধ্যে দিনাতিপাত করছিলেন।
সম্প্রতি গৃহবধূ জানতে পারেন, তার স্বামী রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগকে বিষয়টি জানিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চান। তিনি উল্লেখ করেন, তিনি কোনো মামলা করতে চান না। তিনি চান তার স্বামী তাকে ও তার সন্তানকে নিয়ে সংসার করুক।
গৃহবধূর স্বামীকে খুঁজে বের করে তাকে প্রয়োজনীয় আইনি সহযোগিতা দিতে যাত্রাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলামকে নির্দেশনা দেয় মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ।
ওই গৃহবধূকে জানানো হয়েছে তিনি অভিযোগ করলে তার স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ। কিন্তু, তিনি রাজি হননি। তার ইচ্ছা অনুযায়ী স্বামীকে খুঁজে বের করে সংসারে ফিরিয়েছে পুলিশ। সংসার রক্ষা করতে স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বনের পাশাপাশি উভয় পক্ষকে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কাউন্সিলিং করা হয়।
স্বামীকে ফিরে পেয়ে বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে গৃহবধূ লিখেছেন, ‘আমি আপনাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ। যে কাজটা কেউ সারা জীবনেও করতে পারতো না সেটা আপনারা এক রাতেই করে দিয়েছেন। আমার স্বামী এখন আমার আর বাবুর খোঁজ-খবর রাখে। আমার শাশুড়ি কিছু দিনের মধ্যে আমাকে নিতে আসবে। স্যার, আপনাদের জন্য হয়তো কিছু করতে পারবো না কিন্তু নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করবো। আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুক।”
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস