ই-কমার্স সাইট এসপিসি ওয়ার্ল্ডের এমডি ও সিইও গ্রেফতার


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
ই-কমার্স সাইট এসপিসি ওয়ার্ল্ডের এমডি ও সিইও গ্রেফতার
  • Font increase
  • Font Decrease

ই- কমার্স সাইট এসপিসি ওয়ার্ল্ডের হিসাব থেকে মোট প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও। তারা দুজন এই টাকাটি পুরোপুরি আত্মসাৎ করেছে বলেও প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি। কোম্পানীর টাকা আত্মসাতের কারণে গতকাল রবিবার (৩ অক্টোবর) রাতে বেইলী রোড হতে এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আল আমীন ও সিইও শারমীন আক্তারকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

বিভিন্নভাবে টাকা আয় করার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন পেশার মানুষের নিকট হতে পন্যের অর্ডার নিয়ে টাকা সংগ্রহ করে পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করে। গ্রাহকরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মানি লন্ডারিং ও প্রতারণা আইনে কলাবাগান থানায় মামলা করলে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মামলা নং- ১৪, ধারা- ৪(২) ২০১২ । এসময় তাদের কাছ থেকে একটি এক্সিও ফিল্ডার প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়।

দুপুরে সিআইডি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি’র ফিনানশিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ইতোপূর্বে ২৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের নভেম্বরে গ্রেফতার হয়েছিলেন আল আমীন। তিনি মূলত ডেসটিনি ২০০০ এর উচ্চ পর্যায়ের টিম লিডার ও প্রশিক্ষক ছিলেন। ডেসটিনি ও যুবকের আদলেই গড়ে তুলেছেন এসপিসি ওয়ার্ল্ডক।

জিজ্ঞাসাবাদে এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেসের সিইও জানায়, বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় এক কোটি। এক মাসের মধ্যে তারা প্রায় ৫/৬ কোটি টাকার অর্ডার পায়। যারা পন্য অর্ডার করেন, তাঁদের বেশির ভাগই ছাত্র ও অল্প বেতনের চাকরিজীবী। প্রাথমিক অবস্থায় এসপিসি ওয়ার্ল্ড কিছু পণ্য ডেলিভারি করে সেই গ্রাহকদের দিয়ে তাদের ফেসবুক পেজে ইতিবাচক রিভিউ পোস্ট করিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপন করে। পরবর্তীতে অধিক সংখ্যায় অর্ডার ও অগ্রিম অর্থ পেলে তারা পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করে। অনেক দিন পেরিয়ে গেলে গ্রাহকেরা যখন বুঝতে পারেন, তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন, তখন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমে প্রতিকার দাবি করে বক্তব্য দিতে থাকেন। যারা খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করেন, তাদের টাকা ফেরতের মিথ্যা আশ্বাস হিসেবে চেক প্রদান করা হয়।

কিন্তু অপর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকায় চেক ডিজঅনার হওয়ায় গ্রাহকদের সাথে সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে লাপাত্তা হয়ে যায়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মানি লন্ডারিং ও প্রতারণা আইনে প্রায় ৪টি মামলার তথ্য রয়েছে সিআইডি’র কাছে।

প্রকৌশলনিউজ/সু