নাশকতার পরিকল্পনা : আনসার আল ইসলামের দু’সদস্যের জবানবন্দি


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
নাশকতার পরিকল্পনা : আনসার আল ইসলামের দু’সদস্যের জবানবন্দি
  • Font increase
  • Font Decrease

ব্লগার ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এবং নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিরা হলেন, চান মিয়া ও ফয়েজুর রহমান ওরফে আহমাদ আদনান।

সোমবার রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। এরপর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা দুই আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী আসামি ফয়েজুর রহমান ওরফে আহমাদ আদনান এবং ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়া আসামি চান মিয়ার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এরআগে ২ মে তাদেরকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা। আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরআগে ১ মে রাতে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে ডিএমপি’র কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট তাদের গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। সেই মোবাইলে গুরাবা মিডিয়া, আল হিকমাহ মিডিয়া, আল খিদমাহ মিডিয়া প্রকাশিত উগ্রবাদী বার্তা সম্বলিত বইয়ের সফট কপি (পিডিএফ) পাওয়া যায়। তারা ফেসবুকে উগ্রবাদী প্রচারণার মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ ও বাছাই করে বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগ করতো বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

গ্রেফতার হওয়া ফয়েজ সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসার ফাজিল প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। চান মিয়া সোনাপুর ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তিনি পেইন্টিংয়ের কাজের আড়ালে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের কাজ করতেন। তাদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মামলা হয়েছে।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস