বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট


নিজস্ব প্রতিবেদক :
বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট

হাবিবুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানকে বরখাস্ত ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হয়েছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ছয় আইনজীবীর পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সোলায়মান (তুষার) এ রিট করেন।

রিট আবেদনে বলা হয়, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশের বিমানবন্দরগুলোতে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদের অনুসন্ধানে এই লুটপাটের সঙ্গে হাবিবুর রহমানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে। এ ঘটনায় হাবিবুর রহমানসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশের সব বিমান ও স্থলবন্দরে  চিঠি পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঘুষের টাকা ফেরত চেয়ে তার বিরুদ্ধে  জিডি দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী। কিন্তু এতকিছুর পরেও হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

রিটে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেবিচকের চেয়ারম্যান, পরিচালক (প্রশাসন) ও প্রধান প্রকৌশলীকে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এ রিট দায়ের করা হয়।

আইনজীবী সোলায়মান তুষার জানান, নোটিশে একদিনের মধ্যে বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলীকে তার পদ থেকে সরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। নোটিশে বলেছি- বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের বিমানবন্দরগুলোতে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন তাদের অনুসন্ধানে এই লুটপাটের সঙ্গে প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে। এ ঘটনায় হাবিবুর রহমানসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নোটিশে বলা হয়, প্রধান প্রকৌশলীর মতো পদে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই তদন্ত কাজ ব্যাহত হবে। তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত ধ্বংস করতে পারেন বা সরিয়ে ফেলতে পারেন। তাই তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়াটা জরুরি। তিনি পদে থাকলে স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকাটা স্বাভাবিক।

রিটকারী আইনজীবীরা হলেন- সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সোলায়মান (তুষার), ব্যারিস্টার মাহদী জামান (বনি), অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট নাঈম সরদার, অ্যাডভোকেট মো. শাহেদ সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট খায়রুল বাশার।