সারাদেশে ভারী বর্ষণের আভাস
দুঃসহ গরমের পর সারাদেশেই বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়েছে। কোথাও কোথাও রয়েছে ভারী বর্ষণের আভাস।
এছাড়া ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকায় নদীবন্দরে রয়েছে এক নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে।
এই অবস্থায় মঙ্গলবার (০১ জুন) সকাল পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ায় চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার ও খুলনা জেলা সমূহের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপ প্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। ফলে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
এ সময় ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ০৮-১২ কিমি, যা অস্থায়ী দমকায় ৩০-৪০ কিমিতে উঠে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার নাগাদ আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
এদিকে রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট এবং ঢাকা অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ায় উত্তারঞ্চলের প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।
তিনি জানান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, আগামী বুধবার নাগাদ দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের স্থানসমূহে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। এই সময়ে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, যমুনেশ্বরী, ব্রহ্মপুত্র ও আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল সময়বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তিস্তা নদীর পানি সমতল ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।