বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্পের টেকসই উন্নয়ন দরকার
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্পকে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাজারে টিকিয়ে রাখতে হলে এ খাতের টেকসই উন্নয়ন দরকার। এ জন্য পরিবেশসম্মত উপায় এ খাতের উন্নতি ঘটাতে হবে। সোমবার ভার্চুয়ালি এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ রিসার্চ ফান্ড (জিসিআরএফ) কিউআর-২০২১ প্রজেক্টের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ও ম্যানচেস্টার ফ্যাশন ইনস্টিটিউটের ফ্যাকাল্টি ড. আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিইউএফটি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুজাফ্ফর ইউ সিদ্দিক, বিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, বিইউএফটি’র উপাচার্য প্রফেসর ড. এস.এম. মাহফুজুর রহমান, বিইউএফটি’র প্রো ভিসি প্রফেসর ড. প্রকৌশলী আইউব নবী খান, ম্যানচেস্টার ফ্যাশন ইনস্টটিউিটের প্রধান প্রফেসর লীজ বার্নেস আলোচনায় অংশ নেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে টেক্সটাইল ও রেডিমেট গার্মেন্টস শিল্পকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এ খাতের সকল বাঁধা দূর করে এগিয়ে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পখাত ধীরে ধীরে করোনার নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পখাত, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির মধ্যে লকডাউনের প্রথম পর্যায়ে এখাতে রপ্তানি কিছুটা বাধাগ্রস্থ হলেও বর্তমানে এখাত আবার সচল হতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে যেতে আমাদেরকে টেক্সটাইল ও রেডিমেড গার্মেন্টস শিল্প খাতের টেকসই উন্নয়ন অনিবার্য। এ লক্ষ্যে আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এখাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য যেমন ব্যাপক গবেষণা প্রয়োজন, তেমনি ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিশিয়ানদের মধ্যে আরো যোগসূত্র বাড়াতে হবে।