৭ বছর পর আবারও ১ হাজার সদস্য বাতিলের পরিকল্পনা বিজিএমইএ’র


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
৭ বছর পর আবারও ১ হাজার সদস্য বাতিলের পরিকল্পনা বিজিএমইএ’র
  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ৭ বছর পর আবারও সদস্যপদ বাতিলে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এ বারে ১ হাজারের বেশি সদস্য পদ বাতিল হতে পারে বলে বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে।

কারখানায় উৎপান না থাকা এবং সংগঠনের সদস্যপদ নবায়ন না করাসহ বেশকিছু কারণে গত ২০১৪ সালে বিভিন্ন অভিযোগে ৪৪৫ কারখানার সদস্য পদ বালিত করে বিজিএমইএ। ২০১৪ সালে থেকে বেশকিছু কারখানার বিরুদ্ধে নানা ধরণের অভিযোগ জমা পড়েছে। এসব কারখানাকে বিভিন্ন সময় চিঠিও দেয়া হয়েছে। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কোনো কারখানা যদি সদস্যপদের নিয়ম পূর্ণ ও ফি জমা দিতে ব্যর্থ হয়। তবে সেসব কারখানা আর বিজিএমইএ’র সদস্য থাকবে না।

সংগঠনের সদস্যপদের জন্য তথ্য হালনাগত করা হয়। প্রত্যেক কারখানাকে প্রতিবছর নির্ধারিত হারে ফি দিতে হয়। এর মধ্যে দুবছর পর পর কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনের সময় যারা সদস্য ফি পরিশোধ করে তারাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারে বা ভোট প্রদান করতে পারে। চলতি বছরের গত এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত বিজিএমইএ’র নির্বাচনে ঢাকার এক হাজার ৮৫৩ কারখানার মালিক ভোট দেন। আর চট্টগ্রামের ভোটার ছিলেন ৪৬১ জন।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদনে নেই এবং সদস্যপদ নবায়ন করছে না, এমন কারখানাকে সংগঠন থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় বিজিএমইএ’র নেতারা এমন সিদ্ধান্ত নেন।

বিজিএমইএ’র বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ৭০০। তবে এর অর্ধেক এখন উৎপাদনে নেই। ২০০২ থেকে এখন পর্যন্ত বিজিএমইএ’র বার্ষিক চাঁদা পরিশোধ না করা, বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ধার্য করা চাঁদা না দেওয়া ও কমপ্লায়েন্সের শর্ত পালনে ব্যর্থ হওয়াসহ নানা কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামের এক হাজার ৬৫৪ প্রতিষ্ঠান সদস্য পদ হারায়। এর মধ্যে শুধু ২০১৪ সালে বিভিন্ন অভিযোগে ৪৪৫ কারখানার সদস্য পদ হারিয়েছে।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান জানান, সদস্য পদ বাতিল এটা নতুন কিছু নয়। সাংগঠনিক নিয়মে এটা করা হয়ে থাকে। অনেকে সদস্য রয়েছেন যারা কয়েক বছর থেকে কোনো ধরণের উৎপাদনে নেই। অনেকে আছে যারা উৎপাদনে আছে কিছু সদস্য ফি পরিশোধ করে না। এমন অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। আমরা তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে যদি তারা নিয়ম পূর্ণ করেন এবং ফি জমা দেন, তাহলে তাদের সদস্যপদ থাকবে। অন্যথায় সদস্যপদ বাতিল করা হবে।