করোনায় আরও ৫০ মৃত্যু, শনাক্ত ৬৮৩০ জন
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে আজ শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত) ৬ হাজার ৮৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৪ জনে পৌঁছেছে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর এত বেশিসংখ্যক রোগী আর শনাক্ত হননি। এছাড়া এদিন করোনাভাইরাসে আরও ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে দেশে করোনায় আক্রান্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ১৫৫ জন।
শুক্রবার বিকেলে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (কোভিড ইউনিট) ডা. মো. ইউনুস স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪৭৩ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪১১ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২২৬ টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২০ টি, জিন-এক্সপার্ট ৩৩ টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৭৩ টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩০ হাজার ২৯৩ টি। আগে নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ৩৩৯ টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৭ লাখ ২৮ হাজার ১১৩ টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৬৪ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৭ শতাংশ।
দেশে সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। তবে গত পাঁচ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী।
বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) দেশে ৬ হাজার ৪৬৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মারা যান আরও ৫৯ জন।
প্রকৌশল নিউজ/সু