যেসব দেশের নাগরিকের সৌদি ঢুকতে মানা
করোনাভাইরাসের আশঙ্কায় আবারো এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকাসহ ২০টি দেশ থেকে অভিবাসী নাগরিকদের সৌদি আরবে প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার।
বুধবার সৌদি স্থানীয় সময় রাত ৯টা থেকে কার্যকর হবে এই পদক্ষেপটি। মঙ্গলবার সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি।
এরআগে গত ৩ জানুয়ারি সৌদি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে সব ধরনের ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দিয়েছিল দেশটি।
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার সকাল ৯টা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত আছেন বাংলাদেশের নাগরিকরা। নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া দেশগুলো হচ্ছে- ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লেবানন, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, ইতালি, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, পর্তুগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স ও জাপান। যারা গেলো দুই সপ্তাহের ভেতরে এসব দেশ সফর করেছেন তারাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন।
যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় গত ২১ ডিসেম্বর আকস্মিকভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি আরব। পরবর্তীতে এর মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়ানো হয়। এর ১৫ দিন পর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সৌদি।
এছাড়া মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে মার্চের শুরুতে বিদেশি নাগরিকদের জন্য মক্কা ও মদিনায় ওমরাহ পালন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল সৌদি আরব। সাত মাস পর প্রথমবারের মতো গত বছরের ২ নভেম্বর বিদেশিদের কাবায় প্রবেশের সুযোগ দেয়। করোনা এসে সবকিছু বদলে দিয়েছে। হজ এবং ওমরাহ সবই বন্ধ ছিল সাত মাস।
গত বছর মোটে ১০ হাজারের মতো মুসলিমকে হজ পালন করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। যেখানে সাধারণত প্রতি বছর গড়ে ২৫ লাখের মতো মুসলিম হজ পালনের সুযোগ পান।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, সৌদি আরবে তিন লাখ ৬৮ হাজার ৬৩৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে মারা গেছেন ৬ হাজার ৩৮৩ জন। শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ১১০ জন।