ব্যাপক হাঙ্গামায় পশ্চিমবঙ্গে প্রথম পর্বের ভোট
কর্মীর লাশ উদ্ধার, কেন্দ্রের বাইরে গাড়ি ভাংচুর, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম পর্বের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় শনিবার। ভোট শুরুর সকালেই কোশিয়ারিতে একজন বিজেপি কর্মীর লাশ উদ্ধার হয়। বেশ কিছু জায়গায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পূর্ব মেদিনীপুরের দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই ও পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান সৌম্যেন্দুর অধিকারীর গাড়ি ভাঙা হয়েছে। এসব খবর দিয়েছে ডয়েচে ভেলে।
সৌম্যেন্দুর অভিযোগ, তৃণমূল কারচুপি করছে খবর পেয়ে তিনি এসেছিলেন, তারপরই তার ওপর হামলা করা হয়েছে। তৃমমূলের দাবি, বিজেপি ওখানে কারচুপি করেছে। হামলা হয়েছে বামদের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী সুশান্ত ঘোষের উপরও। সেখানেও অভিযুক্ত তৃণমূল। পুরুলিয়ায় তৃণমূলের এক প্রার্থীকে টিভি ক্যামেরার সামনেই বিরোধীদের হুমকি দিতে দেখা গেছে। তিনি বলেছেন, গুলি মেরে দেব। নির্বাচন কমিশন ঘটনার অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়েছে।
আবার খেজুরিতে সংঘর্ষে এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটেছে। মমতার দলের অভিযোগ, বিজেপি এই কাজ করেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি জায়গায় একই অভিযোগ করেছে তৃণমূল। পূর্ব মেদিনীপুর হলো শুভেন্দু অধিকারীর শক্ত জমি।
সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা ছিল পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। এখানে সকাল থেকেই তৃণমূল অভিযোগ করে যে, প্রচুর বাইরের লোক ঢুকিয়েছে বিজেপি। তাদের বুথে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা সমানে ভোট দিয়ে যাচ্ছে। দলের সংসদ সদস্য সুদীপ ব্যানার্জির নেতৃত্বে তৃণমূল নেতারা নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়েও নালিশ জানায়।
পটাশপুরে তো সারারাত ধরে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। প্রবল বোমাবাজি হয়েছে। পটাশপুর থানার ওসিসহ দুই পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন।
আবার উল্টো অভিযোগ করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, তৃণমূল বুথে কর্মী ঢুকিয়ে ভোট দেয়ার চেষ্টা করেছে। দক্ষিণ কাঁথি কেন্দ্রের একটি বুথে অভিযোগ ওঠে ইভিএমে বোতাম টিপলেই ভোট পদ্মে গিয়ে পড়ছে। এ নিয়ে বেশ খানিকক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। প্রতিবাদ, তর্ক-বিতর্কের পর ভিভিপ্যাট মেশিন বদল করে আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
তবে গোলমাল সত্ত্বেও প্রথম পর্বে ভালো ভোট পড়ছে। বেলা ১১টার মধ্যেই ৩৬ শতাংশ ভোট পড়ে। বেলা ২টা পর্যন্ত ৫৪ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে যায়।
প্রকৌশল নিউজ/এমএস
