করোনা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আতঙ্ক এশিয়ায়


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক :
করোনা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আতঙ্ক এশিয়ায়
  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত হয়তো করোনার সাম্প্রতিক ঢেউয়ের চূড়া অতিক্রম করে ফেলেছে। কিন্তু এশিয়ার অন্যান্য দেশে এখনও সংক্রমণ বাড়ছে। অন্যদিকে এসব দেশে ভ্যাকসিন প্রদান কম থাকায় এসব দেশে করোনা নিয়ে দুশ্চিন্তাও বাড়ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে বেশি সংক্রামক। ভারতের কিছু কাছের প্রতিবেশি যেমন নেপাল, পাকিস্তান আর শ্রীলংকায় মে মাসেই সংক্রমণ দেখা দেয়। যদিও সেসব দেশে এখন সংক্রমণের হার কিছুটা নিম্নগামী। এরমধ্যে নেপালে সংক্রমণের হার সর্বনিম্ন ছিলো। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশটির স্থানীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থা বেশ নড়বড়ে হয়ে পড়ে।

জুনে আফগানিস্তানে করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছিলো। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রী ওয়াজিদ মাজরুহ বলেন, রাজধানী কাবুলের ৬০ শতাংশ সংক্রমণই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জন্য।

সম্প্রতি বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও মঙ্গোলিয়ায় সংক্রমণের তীব্রতা দেখা যাচ্ছে। এসব দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরেছে বিবিসি।

বাংলাদেশ
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত বেশ দীর্ঘ। মে মাসের মাঝ থেকে সংক্রমণ বেশি। সরকারি গবেষণা বলছে, ২৫ মে থেকে ৭ জুনের মধ্যে রাজধানীতে যত সংক্রমণ দেখা দিয়েছে তার ৬৮ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জন্য। কিন্তু দেশে সেই তুলনায় ভ্যাকসিন বিতরণের হার খুবই ধীর। এপ্রিলে বন্ধ হয়ে যায় ভ্যাকসিন বিতরণ।

ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়াতেও সংক্রমণ অনেক বেশি। ২০ জুলাই পযন্ত দেশটির বেশ কিছু প্রদেশে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। জুনের শুরু থেকে এখানে সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা কিছুটা বেড়ে গেছে। সরকার বলেছে সেটাও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জন্যই। সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, পরীক্ষা বলছে গত তিন সপ্তাহের ৬০ শতাংশ সংক্রমণই হয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জন্য। আর পুরোপুরি ভ্যাকসিন পেয়েছে ৫ শতাংশেরও কম মানুষ। রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট বলেছে দেশটি হাসপাতাল বেড ও অক্সিজেন সরবরাহের অবস্থার কারণে বিপযয়ের কাছাকাছি ছিলো।

থাইল্যান্ড
থাইল্যান্ডও বলছে তাদের সংক্রমণের বেশিরভাগই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে। তাদের রাজধানী ব্যাংককের ২৬ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জন্য। ফুকেট দ্বীপেও বর্তমানে এই ভ্যারিয়েন্ট দেখা গেছে। ফুকেটে এখন বিদেশী পর্যটকদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হচ্ছে ট্যুরিজম শিল্পের বিকাশের জন্য। সেখানেও পুরোপুরি ভ্যাকসিন পেয়েছে মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ঝুঁকিটা স্বীকার করতে হবে, যেন থাই জনগণের জীবন বাঁচাতে পারি।

মঙ্গোলিয়া
সেখানে ৫০ শতাংশ মানুষ পুরোপুরি ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে। বেশিরভাগই নিয়েছে চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিন। কিন্তু সেখানে সম্প্রতি বাড়তি সংক্রমণ হার মাথাপিছু সংক্রমণের হারের দিকে সর্বোচ্চ। তার তা হচ্ছে এই ভ্যারিয়েন্টের জন্যই। জুনে সেখানে সংক্রমণ বাড়ে।

গবেষকরা এখনও এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করছে। তাতে তিন ডোজের বুস্টার শট দরকার হবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও এই বিষয়ে কোনো পরামর্শ দেয়নি।