ইরানের ৯ম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মাসুদ পেজেশকিয়ান
ইরানের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রবীণ সংসদ সদস্য মাসুদ পেজেশকিয়ান ইরানের নবম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি গতকাল (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বের ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিজয়ী হন।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান পেয়েছেন ১ কোটি ৬৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০৩ ভোট। অন্যদিকে সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক সাঈদ জালিলির প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ১ কোটি ৩৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৯।
১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণকারী নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান হার্ট সার্জারিতে বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় তাবরিজ অঞ্চল থেকে ৫ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া, তার ঝুলিতে রয়েছে ইরানের দশম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা।
উল্লেখ করা যায়, শুক্রবার দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সময়সীমা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত থাকলেও তা কয়েক দফায় বাড়িয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
ইরানে এখন গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরম চলছে বলে দিনের বেলা ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। সন্ধ্যার পর ভোটারদের সারি বাড়তে থাকে এবং রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব সারি আরো দীর্ঘায়িত হয়।
এর আগে গতকাল (শুক্রবার) রাজধানী তেহরানে দিনের প্রথম প্রহরেই ভোট দেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী। ভোটাধিকার প্রয়োগের পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ আজ একটি ভালো দিন। একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়ে আজ আমাদের প্রিয় জনগণের সক্রিয় হওয়ার দিন। অর্থাৎ নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার দিন। ইনশাআল্লাহ আমাদের প্রিয় জনগণ ভোট দিয়ে সেরা প্রার্থীকে বেছে নেবেন। এই পর্যায়ে স্বাভাবিকভাবেই জনগণ সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় কাজটি শেষ করবেন। ইনশাআল্লাহ আগামীকাল আমাদের একজন [নির্বাচিত] প্রেসিডেন্ট থাকবে।”
গত ২৮ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে কেউ এককভাবে শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন রান অফে গড়ায়। ২৮ জুনের নির্বাচনে ২ কোটি ৪৫ লাখ ভোটার ভোট দেন। এরমধ্যে সংস্কারপন্থী প্রার্থী পেজেশকিয়ান পান ১ কোটি ৪ লাখ ভোট। অন্যদিকে, সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক ও বিপ্লবের মূলনীতির অনুসারী সাঈদ জালিলি পান ৯৪ লাখ ভোট।