দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
সারাদেশে শীতের প্রকোপ অনেকটা বেড়েছে। শীতের এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার থেকে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে বলে সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঢাকায় চলমান আবহাওয়া পরিস্থিতিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার বিচারে শৈত্যপ্রবাহ বলা যায় না। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি এবং কুয়াশা থাকায় শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে আগামী শনিবার থেকে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শীতের এমন আমেজের মধ্যেই বুধবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস, যা তিন দিন স্থায়ী হবে।
মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাওসার পারভীন এসব তথ্য জানান।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। এছাড়া তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে ধরা হয়।
গত ১৮-২৩ ডিসেম্বর এবং ২৬-৩১ ডিসেম্বর রংপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এ সময় ১৯ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
মধ্য জানুয়ারিতে ফের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। ১৫ জানুয়ারি বদলগাছিতে থার্মোমিটারের পারদ নেমে যায় ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাওসার পরভীন বলেন, ‘বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় এবং কুয়াশা থাকার কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে এটা শৈত্যপ্রবাহ না। দেশের সকল স্থানেই তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির বেশি। বুধবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই বৃষ্টি তিন দিন হতে পারে। ২৩ তারিখ থেকে শীত আরও বাড়বে।'
জানুয়ারি জুড়ে শীতের আধিক্য কেমন থাকতে পারে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘জানুয়ারি মাস পুরোটাই শীত থাকবে।’