ভাসানচরের পথে আরও ২ হাজার রোহিঙ্গা
চতুর্থ দফায় আরও ২ হাজার ১২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
সোমবার সকালে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজে করে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেন তারা।
সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে নৌবাহিনীর জাহাজগুলো ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেয়।
নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্দেশে রোববার কক্সবাজার থেকে বাসে করে চট্টগ্রাম পৌঁছান রোহিঙ্গারা। আজ আরও দেড় হাজার জনকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে, তিন দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ৬ হাজার ৬৮৮ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। এছাড়া অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে গত মে মাসে ভাসানচরে নিয়ে যায় সরকার, তারাও সেখানে রয়েছেন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার। সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আগে আশ্রয় নেওয়াসহ বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে বাস করছেন।
প্রকৌশল নিউজ/ এম আর