মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের জন্য কাজ করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের জন্য কাজ করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, দেশের মানুষের শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছিলাম। পরবর্তীতে সেগুলোর প্রতি অবহেলা করা হয়। তবে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা আবারও কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে তৃণমূলের মানুষের কাছে সেবা পৌঁছাতে শুরু করি। এ দেশের মানুষ চিকিৎসা পাবে না, তা হতে পারে না।

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) পাঁচ বিভাগের আওতাধীন ২০ জেলার ৭০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টার’ এর কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে তিনি ‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টার’ এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী এসময় বলেন, তৃণমূলের মানুষের চক্ষুসেবা নিশ্চিতে আমরা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে মানুষ এখন সহজে চক্ষুসেবা পাবেন।

তিনি আরও বলেন, জন্মান্ধের হার কমাতে প্রসূতি মাকে চিকিৎসা দেওয়া ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকার কাজ করছে। এ কারণে শিশুদের মধ্যে জন্মান্ধ হওয়ার হার কমেছে। আমরা চাই দেশের মানুষ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে। ‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টার’ স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় সাধারণ মানুষের চক্ষুসেবা নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি। আমাদের এ কাজে ভারতের অরবিন্দ হাসপাতাল সহায়তা করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যে সম্ভাবনা নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে তা নস্যাত করা হয়। এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দেশবিরোধীরা ক্ষমতায় আসে। কিন্তু ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ শুরু করি। জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করাই আমার লক্ষ্য। তবে আমাদের প্রতি আস্থা রাখায় দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

তিনি বলেন, শিক্ষা-স্বাস্থ্যে দেশের মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে। কোনও মানুষ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না, এ জন্য কাজ চলছে। নদী ভাঙা মানুষসহ দ্ররিদ্র জনগোষ্ঠির ঘর তৈরিতে কাজ করছি। কারণ জাতির পিতা চেয়েছিলেন মানুষের কষ্ট দূর করতে। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে চলছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল মানুষ পাচ্ছেন। অন্ধত্ব থেকে মানুষকে রক্ষায় এখন আমরা কাজ করছি। জাতির পিতা যে দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো বলে আশা রাখি। কারও কাছে হাত না পেতে মর্যাদা নিয়ে আমরা চলতে পারবো, এমন দেশ গঠনেই আমরা কাজ করছি।

অনুষ্ঠানে করোনা নিয়ন্ত্রণসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, চোখের সুরক্ষার জন্য ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। করোনা নিয়ন্ত্রণসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে।

এসময় করোনা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। সবাই করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পাশাপাশি সচেতনভাবে চলাফের করবেন ও মাস্ক ব্যবহার করবেন। এতে আমরা করোনাকে নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবো।

‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টার’ কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে ‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টার’ কার্যক্রমের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।