সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রীর


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন  প্রধানমন্ত্রীর
  • Font increase
  • Font Decrease

উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত‌্যয় ব‌্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বো, এটাই প্রতিজ্ঞা।’

রোববার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় অংশ নেন তিনি। 

সভায় সূচনা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অন‌্যদের মধ‌্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।

পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। বাংলাদেশকে ভিন্ন খাতে নেওয়া হয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পর নানা কর্মসূচি নিয়েছিলাম। তারপরও চক্রান্ত থামেনি। ২০০১ সালে আমাদের ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। এই সময়ে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নসহ নানা খাতে পিছিয়েছে বাংলাদেশ।

গত এক যুগ আওয়ামী লীগ সরকার টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে ব‌্যাপক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ১২ বছরে বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে দেশ পরিচালনা করেছি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, দাবায়ে রাখতে পারবা না। আসলেও দাবায়ে রাখা যায়নি, যাচ্ছে না। তার আদর্শে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বাংলাদেশের জনগণের জন‌্য সম্মানের এবং সার্থকতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ২৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে শুভেচ্ছা বার্তা আমরা পেয়েছি। সময়ের অভাবে সব বার্তা শোনাতে পারিনি। সমস্ত বার্তা রক্ষিত আছে, তৃণমূল পর্যন্ত প্রচার করতে হবে।

বিশ্বের রাষ্ট্রনায়কদের এসব শুভেচ্ছা বার্তা যেন জনসাধারণ জানতে পারে সেজন‌্য সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনকে শুভেচ্ছা বার্তা গুলো প্রচারে কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।

খাদ‌্য উৎপাদন বাড়াতে জমি অনাবাদি না রেখে ফসল ফলানোর পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্য উৎপাদন করে নিজেদের প্রস্তুতি রাখতে হবে, যাতে অন্তত খাদ্য সংকট না হয়। করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যায় বলা যায় না। আমরা নিজের খাদ্য নিজেই জোগান নিশ্চিত করবো, প্রয়োজনে অন্যকেও দিতে পারবো।

এ সময় সারা দেশ আরও সবুজায়ন করতে বৃক্ষরোপণ  কর্মসূচি অব‌্যাহত রাখার কথাও বলেন তিনি। একটি মানুষও ভুমিহীন এবং গৃহহীন থাকবে না-এই লক্ষ‌্য তার সরকার কাজ করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে দেশের জনগণকে স্বাস্থ‌্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। সব অনুষ্ঠান সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। তবে কেউ মাস্ক ছাড়া বাইরে বের হবেন না। শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। সভা-সেমিনার-কর্মশালা স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে করতে হবে। যতদূর সম্ভব খোলা জায়গায় কর্মসূচি করতে হবে।

করোনার প্রথম ধাক্কায় যেভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তেমনিভাবে আগামীতেও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, যে দল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছে, তাদের ওপর অনেক দায়িত্ব। মানুষের জন্য খাদ্য বিতরণ, মাস্কসহ স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও নানা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।