বনানীতে চিরনিদ্রায় শায়িত আলী যাকের
কিংবদন্তি অভিনেতা-নির্দেশক আলী যাকের
রাজধানীর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটের দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি আলী যাকেরের মরদেহ। সেখানে ঘণ্টাব্যাপী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার বন্ধু-সুহৃদ-স্বজন এবং শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা।
শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানের শুরুতেই ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক আলী যাকেরকে। এরপর তার মরদেহে একে একে শ্রদ্ধা জানান সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার, নাট্যজন মামুনুর রশীদ, সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, মফিদুল হক প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া আওয়ামী লীগের পক্ষে আলী যাকেরের মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আলী যাকেরের পরিবারের পক্ষে তার মরদেহের পাশে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী নাট্যজন সারা যাকের, ছেলে ইরেশ যাকের ও মেয়ে শ্রিয়া সর্বজয়া।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর থেকে আলী যাকেরের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বনানীতে তার প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিকের কার্যালয়ে। সেখানে ফ্রিজিং ভ্যানে তার মরদেহ রাখা হয়।
সেখান থেকে বাদ আসর আলী যাকেরের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বনানী কবরস্থানে। সেখানে জানাজা শেষে চিরনিদ্রায় শায়িত হন দেশের নাট্যাঙ্গনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব।
এর আগে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে ৭৬ বছরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন নাট্যজন আলী যাকের। প্রায় চার বছর ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি।