বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষ : আসামি ৭ শ’, ১৩০০ গুলি খরচ পুলিশের


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক :
বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষ : আসামি ৭ শ’, ১৩০০ গুলি খরচ পুলিশের
  • Font increase
  • Font Decrease

মোদিবিরোধী বিক্ষোভে বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের ঘটনার প্রেক্ষিতে শনিবার পুলিশ বাদী হয়ে এই মামলা করে।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রায় ১৩০০ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। তবে মামলায় কারো নাম বা রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করেনি পুলিশ। পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়।

পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম হোসেন রোববার দুপুরে মামলার বিষয়ে এসব তথ্য জানান। তিনি নিজেই এ মামলার বাদী।

তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদ ঘিরে শুক্রবার জুমার নামাজের পর সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাত অন্তত ৫০০-৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় কারো নাম বা রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রায় ১৩০০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানদের বাংলাদেশে আগমনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ কতিপয় বিক্ষোভকারী বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে অবস্থান নেয়। এছাড়া মসজিদের ভেতরে সরকারবিরোধী উসকানিমূলক ও অবমাননাকর স্লোগান দিতে থাকে। তখন বায়তুল মোকাররমের ভেতরে দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে এক গ্রুপ মসজিদের উত্তর গেট দিয়ে বের হলে ভেতরে থাকা অন্য গ্রুপ তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে মসজিদের ভেতরে থাকা বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন প্রকার উসকানিমূলক ও সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে যান। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার অনুরোধ করলে তারা পুলিশের প্রতি চরম ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তখন পুলিশ গুলি ছোড়ে।

শুক্রবারের ওই ঘটনার পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেছিলেন, আন্দোলনকারীরা মসজিদকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। যেহেতু সকল মুসলিম ও মুসলমানদের তীর্থস্থান ও পবিত্র জায়গা হচ্ছে মসজিদ, সেহেতু পুলিশ মসজিদের পবিত্রতা রক্ষার্থে মসজিদের ভেতর প্রবেশ করেনি।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ আইনানুগভাবে তাদের প্রতিরোধ করে যাতে জান-মালের ক্ষয়-ক্ষতি না হয় ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে এক পর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারসেল ছুড়ে তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করে।