লকডাউনেও উপচে পড়া ভিড় শিমুলিয়াঘাটে


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক :
লকডাউনেও উপচে পড়া ভিড় শিমুলিয়াঘাটে
  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় সংক্রমণ প্রতিরোধে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। আজ থেকে শুরু এই লকডাউন নিয়ে জনমনে সচেতনতা খুব কমই দেখা গেছে। লকডাউনকে কেন্দ্র করে দিনব্যাপী মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মত।

সকাল থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী সীমিত সংখ্যক ফেরি দিয়ে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাটের উপ-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, বর্তমানে এ নৌরুটের ১৭টি ফেরির মধ্যে চারটি ফেরি সচল রয়েছে।

এদিকে সীমিত সংখ্যক ফেরি চলায় ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে সহস্রাধিক যানবাহন। এদের বেশিরভাগই ব্যক্তিগত গাড়ি বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এদিকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেন ঘাটে উপস্থিত যাত্রীরা। দুপুর ২টার দিকে ৩ নম্বর ফেরিঘাটে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাংচুর করেন তারা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হননি।

লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকেই ঘাটে পুলিশ মোতায়েন ছিল। দুপুরে যাত্রীরা বিক্ষোভ করলে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর হিলাল উদ্দিন জানান, সীমিত সংখ্যক ফেরি চলাচল করায় দীর্ঘ যানবাহনের লাইন পড়েছে। এসব গাড়িকে ঢাকায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

শিমুলিয়া ফেরিঘাটের উপ-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ বলেন, সকালে ঘাটে তেমন একটা ভিড় না থাকলেও দুপুর দিকে যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে গত রাতে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ফেরি বন্ধ থাকায় যেসব যানবাহন আটকে পড়েছিল সেগুলো এবং ছোট গাড়ি পর্যায়ক্রমে পারাপার করা হচ্ছে।