ফরিদপুরে থানা ও উপজেলা পরিষদে হামলা ও ভাঙচুর


নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফরিদপুরে থানা ও উপজেলা পরিষদে হামলা ও ভাঙচুর
  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সঙ্গে থাকা এক সরকারি কর্মচারীর লাঠিপেটায় এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হওয়াকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেছে।  

সোমবার রাত ১১টায় উত্তেজিত জনতা ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবিতে উপজেলা পরিষদ ও থানা ঘেরাও করে রেখেছে।

এছাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজারে চা খেয়ে ওই ইউনিয়নের নটাখোলা গ্রামের মো. জাকির হোসেন মোল্লা বাড়ি ফিরছিলেন।

এসময় সেখানে লকডাউনের কার্যকারিতা পরিদর্শনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হীরামনি উপস্থিত হন।  

জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, কিছু বুঝে উঠার আগেই এসিল্যান্ডের গাড়ি থেকে নেমে এক ব্যক্তি তার কোমরে সজোরে লাঠি দিয়ে বাড়ি দেন।

এতে তার কোমর ভেঙে যায়। আহত জাকির হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, জাকির হোসেন আহত হওয়ার খবরে সেখানে উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আরও গ্রামবাসী জড়ো হয়। এরপর সেখানে সালথা থানার এস আই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পৌঁছালে উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপরে হামলা করে। এতে এস আই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা সালথা থানা অভিমুখে রওনা হয়ে থানা ঘেরাও করে।

সালথা থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা এএসআই মহিউদ্দিন জানান, হামলাকারীরা থানার গেট ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে ও থানার ভেতরে ইট-পাটকেল মেরেছে। এছাড়া উপজেলা পরিষদের গেটও ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সালথা থানার ওসি আশিকুজ্জামান বলেন, সহকারী কমিশনারের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফুকরা বাজারে পুলিশ পৌঁছালে সেখানে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। এতে এসআই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হীরামনির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।