স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীন তবে, চিরচেনা রুপে ফিরেছে শহর!
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সব জেলায় চলাচল শুরু করেছে গণপরিবহন। সরকারি অফিস বন্ধ থাকায় গণপরিবহন চালু হওয়ার প্রথম দিন সকালে যাত্রীর চাপ তেমনটা চোখে পড়েনি। যাত্রীর চাপ তেমনটা না থাকায় বেশিরভাগ বাস চালক ও হেলপারদের স্বাস্থ্যবিধি মানতেও দেখা যায়নি। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে গণপরিবহন ও যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকা সত্ত্বেও সাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যপারে চালক ও হেলপাররা ছিল উদাসীন।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) সাতক্ষীরায় গণপরিবহন চলাচলের সার্বিক চিত্র এমনটিই দেখা যায়।
সকালে সাতক্ষীরা টার্মিনাল এলাকায় যাত্রীবাহী বাস চলাচল করতে দেখা যায়, তবে এসব বাসে শারীরিক দূরত্ব মেনে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেলেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার জাতীয় কোন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। একই চিত্র দেখা যায় সংগীতা মোড় রোড ও নিউ মার্কেট রোডে চলাচল করা বাসগুলোতেও।
গণপরিবহন চালুর প্রথম দিন রাস্তায় গাড়ির চাপ ছিলো চোখে পড়ার মত, সকাল নয়টায় খুলনা রোড মোড়ে বাসের চাপ দেখা গেছে। সময় বাড়ার সাথে সাথে এসব বাসে যাত্রীর চাপও ছিলো অনেক। এসময় হাতে গোনা কয়েকটি বাসে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে দেখা গেলেও বেশির ভাগ বাসেই স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি ছিল উপেক্ষিত।
পরিবহনের চালক বলেন, রাস্তায় যাত্রী নাই তারপরেও আমরা এক সিট ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহন করছি। স্যানিটাইজার আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আছে- তবে দেখাতে পারেননি। বেশির ভাগ বাসেই নেই স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা, শেকড় পরিহনের অফিসগামী এক যাত্রী বলেন, আমরা নিজেরা যতটুকু সচেতনতা দেখাচ্ছি ততটুকুই। পরিবহনের পক্ষ থেকে কোন ধরণের স্বাস্থ্যবিধি মানার তোড়জোড় দেখি নাই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভাড়া বেশি আদায় করা হচ্ছে, এসব আসলে দেখার কেউ নাই।
উল্লেখ্য, আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে, এর ফলে ২২ দিন বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে জেলা ভিত্তিক গণপরিবহন। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ও বাস মালিক, শ্রমিকদের দাবির মুখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আবার খুলে দেওয়া হয়েছে গণপরিবহন। বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতির পক্ষ্য থেকে বলা হয়েছিলো যেসব পরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মানবে না তাদের কঠোর শাস্তি ও জরিমানার আওতায় আনা হবে।